এই মুহূর্তে জেলা

পরিষ্কার হচ্ছে না নর্দমা, মশার আঁতুড় ঘর চুঁচুড়া!

সুদীপ দাস, ১২ নভেম্বর:- শিয়রে করোনা, তার উপর দোসর ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া! বর্তমানে মশার উপদ্রবে নাভিশ্বাস চুঁচুড়াবাসীর। বর্ষার দৌরাত্ম কমলেও হুগলীর সদর শহর চুঁচুড়ায় নিকাশী ব্যাবস্থার বেহাল দশা। ছোট-বড় বহু নর্দমাই অবধি পরিস্কার হচ্ছে না। ফলে জমা জলে কিলবিল করছে মশার লার্ভা। বাড়ছে মশার সংখ্যা। সকাল থেকে রাত মশার উপদ্রবে নাজেহাল অবস্থা এলাকাবাসীর। ইচ্ছা না থাকলেও বাধ্য হয়ে বাজারের মশা মারার কয়েল কিংবা ডিমের ট্রে জ্জ্বালিয়ে দিনযাপন করতে হচ্ছে মানুষকে। যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। চুঁচুড়ার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ১নম্বর কাপাসডাঙ্গা প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন বড় নর্দমা শেষ কবে পরিস্কার হয়েছে তা মনে করতে পারছেন না এলাকাবাসীরা। নর্দমার জমে রয়েছে আবর্জনার স্তুপ। ফলে জলও স্থির হয়ে গেছে।

আর সেই স্থির জলই হলো মশার আঁতুড় ঘর। চুঁচুড়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে গোয়ালটুলি সংলগ্ন এলাকার ছোট নর্দমায় কিলবিল করছে মশার লার্ভা। একই অবস্থা ১০, ৯, ১৪, ১৬, ২৩, ২৪ সহ পুরসভার ৩০টির বেশীরভাগ ওয়ার্ডেই। শহরের অত্যন্ত ব্যাস্ততম চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ের কাছে জেলা আদালত, জেলা পরিষদ প্রভৃতি এলাকার ব্যবসায়ীরা সকাল থেকেই মশার উপদ্রবে নাজেহাল। নাজেহাল সরকারী কর্মীরাও। নর্দমা বাদ দিন হুগলী জেলা পরিষদের সামনেই দেখা গেলো রাস্তার পাশে জল জমে রয়েছে। শহরবাসীর বক্তব্য পৌরসভা কোনভাবেই এদিকে নজর দিচ্ছে না। এখন তাই সকাল থেকেই মশারি ব্যাবহার ছাড়া উপায় নেই। যদিও পুর প্রশাসক গৌরিকান্ত মুখার্জী নর্দমা পরিষ্কার না অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন এই সময়ে প্রতিবছর মশার উপদ্রব বাড়ে। তবে মশা মারার জন্য সবরকম ব্যাবস্থা গ্রহন করছে পৌরসভা।