জেলা এই মুহূর্তে

ঠিকাদার সংস্থাকে ভূয়ো শংসাপত্র , কাঠঘড়ায় বিগত পৌর-প্রশাসক , এফআইআর বর্তমান প্রশাসকের !

সুদীপ দাস , ১৮ অক্টোবর:- যে জলের লাইনের কাজ এলাকায় হয়নি, সেই কাজের নামে কোটি টাকার বেশী ঠিকাদার সংস্থাকে শংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠলো পুরসভার বিগত দিনের প্রশাসকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নজরে আসতেই নড়েচরে বসে বর্তমান পৌর বোর্ড। ঘটনায় বিগত বোর্ডের প্রশাসককে কাঠঘড়ায় দাঁড় করিয়ে ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর বর্তমান পৌর বোর্ডের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি বাঁশবেড়িয়া পুরসভার। সোমবার রীতিমত সাংবাদিক বৈঠক করে বিষয়টি জানানো হয়। এদিনের বৈঠকে সপ্তগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, বাঁশবেড়িয়া পুরসভার পুর-প্রশাসক আদিত্য নিয়োগী, উপ-পুরপ্রশাসক অমিত ঘোষ সহ প্রশাসক বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পুরসভা সূত্রে খবর চলতি মাসের ৭ তারিখ পঃ বঙ্গ সরকারের পিএইচই দপ্তরের উত্তরবঙ্গ সার্কেল -২ অফিস থেকে একটি শংসাপত্র যাচাইয়ের চিঠি আসে। সেই চিঠিতে বলা হয় উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরের জনৈক আর.কে কন্সট্রাকসনকে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার দেওয়া শংসাপত্র সঠিক না ভূয়ো?

সেই শংসাপত্র যাচাই করতে গিয়েই বাঁশবেড়িয়া পুরসভা দেখতে পায় এলাকায় ২০২০ সালে জলের পাইপ লাইনের কাজ দেখিয়ে ১কোটি ২৬লক্ষ ৪৮ হাজার ৫৯৬ টাকার একটি শংসাপত্র দেওয়া হয় আ.কে কন্সট্রাকসনকে। কিন্তু সেই কাজ আদৌ হয়নি। গত ২৩.০৪.২০২১ তারিখের সেই শংসাপত্রে বিগত বোর্ডের চেয়ারপার্সন অরিজিতা শীলের স্বাক্ষর রয়েছে। আর.কে কন্সট্রাকসন সেই শংসাপত্র দেখিয়েই অতিরিক্ত কাজের বরাত চায় উত্তরবঙ্গ পিএইচই দপ্তরের কাছে। বিষয়টি পরিষ্কার হতেই আ.কে কন্সট্রাকসনের নামে মগরা থানায় এফআইআর দায়ের করা হয় বর্তমান পুর বোর্ডের পক্ষ থেকে। যদিও এই দুর্নীতিতে বিগত দিনের পুর প্রশাসক অরিজিতা শীল জড়িয়ে আছেন কিনা সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ বর্তমান পুর বোর্ড। তবে উল্লেখ্য মাস কয়েক আগে বর্তমান পুর প্রশাসক বাঁশবেড়িয়ায় গুলিবিদ্ধ হন। যেই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে তৎকালীন পুর প্রশাসক অরিজিতা শীলের স্বামীর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার পরই অরিজিতা শীলকে পুর বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হওয়ার পর প্রশাসকের চেয়ারে বসানো হয় আদিত্য নিয়োগীকে।