সুদীপ দাস, ১ অক্টোবর:- বাড়িতে ঢুকে ডাকাতি, বাঁধা পেয়ে শাবল দিয়ে মারধর দম্পতিকে। ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় ওই দম্পতি চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবারর্াত দুটো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়া থানার কোদালিয়া-২ পঞ্চায়েত অফিসের সামনে। জখম দম্পতির নাম অজয় কুমার মল্লিক (৬৩) ও গায়ত্রি মল্লিক (৫৮)। অজয়বাবু পড়শি রাজ্য বিহার ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের প্রাক্তন কর্মী। গায়ত্রিদেবী গৃহবধু। তাঁদের একমাত্র ছেলে অভিষেক বিহারের গয়ায় একটি ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন রাত দুটো নাগাদ ওই বাড়িতে জনাকয়েক দুঃষ্কৃতি ঢোকে। সেসময় একই বিছানায় ঘুমোচ্ছিলেন ওই দম্পতি। কানের দুল খোলার সময় গায়ত্রিদেবীর ঘুম ভেঙে যায়।
এরপর চিৎকার করতেই গায়ত্রীদেবীর মাথায় ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতিরা। আওয়াজ শুনে ঘুম ভাঙতেই অজয়াবুকেও ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করে। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পরেন দুজনে। বেশকিছুক্ষন লুটপাট চালিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিরা। পরে ওই দম্পতির হুশ ফিরতে প্রতিবেশীদের ডাকাডাকি শুরু হয়। এরপর প্রতিবেশীরা এসে তড়িঘড়ি দুজনকে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে পাঠায়। খবর পেয়ে দম্পতির ছেলে গয়া থেকে বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছে বলে খবর। পুলিশ এসে ওই বাড়িতে আপাতত সাধারন মানুষের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এলাকায় রয়েছে পুলিশ পিকেট। উল্লেখযোগ্য ওই বাড়ির উল্টোদিকেই রয়েছে জাতীয় দলের প্রাক্তন ফুটবলার তনুময় বসুর বাড়ির। ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই পঞ্চায়েত অফিস ও দুদিন আগে নিট পরীক্ষায় ভারতে প্রথম স্থান অধিকারী অমর্ত্য সেনগুপ্তের বাড়ি। সেদিক থেকে ওই এলাকা যথেষ্ট অভিজাতপূর্ন। আজ সকালে এলাকা পরিদর্শনে যান চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার।