সুদীপ দাস, ২৮ সেপ্টেম্বর:- বয়স মাত্র ১৩। এই বয়সেই নিজের ছোট্ট হাতে প্রায় ৯ফুট উচ্চতার দেবী দুর্গার মূর্তি গড়ে উঠছে। তবে এবারেই প্রথম নয়। মাত্র ৫বছর বয়স থেকেই দুর্গার মুর্তি তৈরি করে আসছে রাজহাট উত্তরপাড়ার বাসিন্দা শুভ মাইতি। বাবা অষ্ট মাইতি চাষাবাদ করেই সংসার চালান। মা সম্পা মাইতি গৃহবধু। মাইতি দম্পতির এক ছেলে-মেয়ের মধ্যে শুভ ছোট। শুভ রাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্র। ছোটবেলায় পাড়ার পালবাড়িতে ঠাকুর বানানো দেখে মাটির প্রতিমা তৈরীর প্রতি আকৃষ্ট হয় শুভ। ইচ্ছাশক্তিকেই বাস্তবে রূপ দেয় সে। মাত্র ৫বছর বয়সে নিজের হাতেই ছোট্ট দূর্গা প্রতিমা তৈরী করেছিল সে। সেই থেকে প্রতি বছর নিজ হাতে মায়ের মুর্তি তৈরী করে নিজের হাতেই পুজো দেওয়া শুরু।
শুভর বয়স বাড়ার সাথে সাথে দুর্গা প্রতিমার আকারও বাড়তে থাকে। এবার ৯ম বর্ষে প্রায় ৯ ফুট উচ্চতার মৃন্ময়ী মা শুভর হাতেই চিন্ময়ী হয়ে উঠছেন। শুধু মা দুর্গাই নয়। প্রতি বছরই দুর্গার সাথে তাঁর সন্তান-সন্ততিরাও শুভর হাতেই চিন্ময়ী হয়ে ওঠে। শুভর ইচ্ছা প্রতিবছর এভাবেই নিজের হাতে তৈরি মায়ের প্রতিমা তাঁর হাতেই পুজিত হন। শুভর দিদি ঋতুপর্ণা মাইতি বলেন ভাই ছোটবেলা থেকেই দেবী মুর্তি তৈরী করছে। প্রথম প্রথম মায়ের চোখ-মুখ একটু দৃষ্টিকটু হত। কিন্তু বর্তমানে ভাইয়ের হাতেই মায়ের অপরূপ রূপ ফুটে উঠছে। সারাবছর এর-ওর কাছ পাওয়া টাকা জমিয়ে ভাই, মায়ের মূর্তি তৈরী করে। পুরোটাই ও নিজ হাতে করে। আর নিজেই পুজো দেয়। তাই এই পুজোটা সত্যিই আমরা একটু অন্যরকমভাবে উপভোগ করি। আমাদের আশা একদিন ভাইয়ের হাতে তৈরী দুর্গা মূর্তি বড় কোন পুজো প্যান্ডেলে পুজিত হবেন।