বালুরঘাট, ২৬ সেপ্টেম্বর:- মহালয়ার আগে মাত্র আর কয়েক সপ্তাহ বাকি। বাতাসে পুজোর গন্ধ। কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের কাঁটায় এবার দুর্গাপুজো হলেও প্যান্ডেলে ভিড় জমাতে বারণ করছেন চিকিৎসকরা। তাই নাতনীর আবদার মেটাতে গৃহস্থলির কাজের ফাকে খড়-মাটি নয় শুধু মাত্র কাপড়ের টুকরো আর সুচ-সুতোর টানে দুর্গা ও তার ছেলে মেয়েদের গড়ে তুললেন ঠাকুমা। তবে তা শুধু মাত্র ঘরের শোভা বর্ধন করে রেখেই ক্ষান্ত থাকতে রাজি নন ঠাকুমা। চিকিৎসকদের সুপরামর্শের কথা মাথায় রেখে মন্ডপে ভীড় না জমিয়ে নাতনীর আবদারে এবার বাড়িতেই তা নম নম করে সেই কাপড়ের দুর্গা প্রতিমা পুজোর মধ্যমে নাতনী তো বটেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে দুর্গা উৎসবে মেতে উঠতে চলেছেন বালুরঘাট শহরের রথতলা পাড়ার গৃহবধু রুপালী চক্রবর্তী। যদিও তিনি এর আগে কখনও এরকম কোন প্রতিমা তৈরির কাজ করেন নি। তবে আর পাঁচজন গৃহীনির মত সুচ সুতোয় হাতের সুক্ষ কাজ ফুটিয়ে তুলেছেন অনেক কিছুতেই।
তাই স্কুল না যাওয়া ঘরবন্দি নাতনীর আবদার মেটাতে বাড়িতে থাকা পুরনো কাপড় চোপড় দিয়ে সুচ সুতোর টানে গড়ে তুললেন দুর্গা প্রতিমা। শুধু দুর্গা নয় সংগে তার প্রিয় গনেশ, কার্তিক, সরস্বতি লক্ষী সহ তাদের বাহনকেও। সাথে তো দুর্গা মায়ের তলায় বিদ্বমান সীংহ ও মুর্তিমান অসুর। বাকি ছিল বেশ ভূষার সাজ সজ্জা, তাও বাজার থেকে কিনে এনে মাত্র ১৫ দিনেই নাতনীর আবদার মেটাতে রুপালী দেবী গড়ে তুলেছেন দুর্গা প্রতিমা। যা দেখতে পাড়া পড়শিরাও এখন থেকেই ভীড় জমিয়েছে। তাহলে পুজোর ক’ দিন কি হবে তা তো আন্দাজ করতে কারো বাকি থাকার কথা নয়।সে দিকে লক্ষ রেখেই নাতনীর আবদারে ঠাকুমা নিজের হাতে তৈরি সুদৃশ্য দুর্গা প্রতিমা নম নম করে পুজো সারলেও প্রসাদ বিতরনে কোন কার্পন্য রাখতে চায়না চক্রবর্তীর পরিবার। করোনাকালে তৃতীয় ঢেউ রুখতে এভাবেই ঘরে ঘরে ভক্তির নিবেদনেই হোক শক্তির আরাধনা।