সুদীপ দাস, ১৬ সেপ্টেম্বর:- বলাগরের গঙ্গার পর হুগলীতে ফের নদী ভাঙন। এবারে পোলবায় কুন্তি নদীর ভাঙনের কবলে বিস্তীর্ন এলাকা। ইতিমধ্যে একটি রাস্তার প্রায় ১০০ফুট জায়গা এক মানুষ সমান বসে গেছে। রাস্তার পাশেই থাকা রয়েছে বসত ভিটে। স্থানীয়রা এখন আতঙ্কিত এই বুঝি তাঁদের বসত ভিটেকে কুন্তি নদী গ্রাস করে! হুগলীর পোলবা-দাদপুর ব্লকের গোটু ব্রিজ থেকে কুন্তি নদীর পার বরাবর বাহির রানাগাছা পর্যন্ত ৫কিমি ৬০০ মিটার রাস্তা রয়েছে। বিগত দিনে এই রাস্তা ইটের ছিলো। গত বছর রাজ্য সরকারের পূর্ত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে এবং নাবার্ডের সহযোগীতায় সেই রাস্তা নতুন রূপে পিচের তৈরী হয়।
তখনই প্রায় সাড়ে পাঁচ কিমি ওই রাস্তার বহু জায়গাতেই কুন্তি নদীর পার শাল-বল্গা দিয়ে বাঁধায়ে চওড়া করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ রাস্তা চওড়ার জন্য নদীর পারের বহু গাছ কাটা পরে। আর সেই গাছ কাটার এক বছরের মাথাতেই ধ্বংসলীলার কবলে গোটা এলাকা। বর্তমানে সাড়ে ৫কিমি সেই রাস্তার নিজামপুর এলাকা নদী ভাঙনের কবলে। দিন কয়েকের আগের বৃষ্টিতে নিজামপুরে রাস্তার প্রায় ১০০ ফুট অংশ প্রায় ৬ফুট বসে নদীপৃষ্টের সমানে গ্রাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। রাস্তার অপর পাশেই রয়েছে বসত ভিটে।
স্থানীয়রা এখন আতঙ্কে দিন গুনছেন এই বুঝি বসত ভিটে গ্রাস করে নদী। এবিষয়ে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন বাম আমলে ওই রাস্তা এটেল মাটির ছিলো। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় আসার পর ওই রাস্তা করেছি। যদিও নদীর পার কোথায় কখন ভাঙবে তা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। তবে নদীর পারের গাছ কাটার কথা আমি জানি না। যখন গাছগুলি কাটা হয়েছিল তখনই স্থানীয়রা আমাকে জানাতে পারতো। ওই ভাঙন রুখতে কি করা যায় আমি দেখছি।