কলকাতা, ১০ সেপ্টেম্বর:- পূর্ব ঘোষণা মতই গণেশ চতুর্থীর শুভ দিনে মনোনয়ন জমা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী। এদিন দুপুরে কোভিড বিধি মেনে হাতে গোনা কয়েকজন নেতার উপস্থিতিতে আলিপুরের সার্ভে বিল্ডিংয়ে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন হওয়ার কথা৷ গণেশ চতুর্থীর দিনই যে তিনি মনোনয়ন পেশ করবেন, আগেই তা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তৃৃণমূলনেত্রী৷ সেই মতো এ দিন বেলা দুটো নাগাদ আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিকের স্বামী নিসপাল সিং রানে, রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের স্ত্রী ইসমত হাকিম, মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, নির্মল মাজি প্রমূখ৷ ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটির প্রধান মীরজ শাহও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
রিটার্নিং অফিসারের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবক হিসেবে মনোনয়নপত্র সই করেন ইসমত হাকিম এবং নিসপাল সিং রানে৷ মুখ্যমন্ত্রীর মনোনয়নে আরও দুই প্রস্তাবক ছিলেন দলের প্রাক্তন কাউন্সিলর বাবলু সিং এবং মীরজ শাহ৷ মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে মমতা নিজেই নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে নিসপাল সিং রানের পরিচয় করিয়ে দেন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ও অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিকের স্বামী নিসপাল সিং রানে৷ ভবানীপুরেই থাকে৷’ মিনিট ১৫র মধ্যে মনোনয়ন পর্ব সেরে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কোনও কথা না বললেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরের ঘরের মেয়ে। নন্দীগ্রামে তাঁর বিরুদ্ধে যে অন্যায় হয়েছে ভবানীপুরের মানুষ তার জবাব দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। ২০১১ সালে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনে দাঁড়িয়ে জেতেন মমতা। সেই প্রথম বিধানসভা ভোটে লড়লেন তিনি। তার পর থেকে ভবানীপুরেই ভোটে লড়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
কিন্তু ২০২১ সালে ভবানীপুর ছেড়ে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে। বিধানসভা ভোটে শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে লড়েছিলেন মমতা। কিন্তু সামান্য ভোটের ব্যবধানে তাঁকে হারিয়ে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই কারনেই বিধায়ক না হয়েও মুখ্যমন্ত্রী হয়ে এখন উপনির্বাচনে লড়াই করতে হচ্ছে তৃণমূলনেত্রীকে। এই ভোটে জিতে তিনি ফের বিধায়ক হবেন। তৃণমূলের দাবি, রেকর্ড ভোটে জিততে চলেছেন বাংলার অগ্নিকন্যা। মনোনয়ন পেশ করার দিন থেকেই বিরোধীদের পিছনে ফেলে একধাপ এগিয়ে রইলেন তিনি। বিজেপি আনুষ্ঠানিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিনেই উপনির্বাচনের প্রথম প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী।