হাওড়া, ৩০ জুলাই:- জল যন্ত্রণা অব্যাহত হাওড়ায়। কারশেড এখনও জলমগ্ন। বাতিল ট্রেনও। বেলুড়ের সড়কে যাত্রী নিয়ে চলছে বোট। হাসপাতালেও ঢুকেছে জল। গত দু’দিনের বৃষ্টিতে এমনই ছবি দেখা গেল হাওড়ায়।বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ এবং সক্রিয় ঘূর্ণাবর্তের জেরে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সারাদিন প্রবল বর্ষণ হয়। এর জেরে হাওড়া কার্যত বানভাসি চেহারা নেয়। টিকিয়াপাড়া কারশেড, ঝিল সাইডিং এবং হাওড়া গুডস কোচিং ইয়ার্ড জলে ডুবে যায়। এর ফলে রেললাইনে স্বয়ংক্রিয় সিগনালিং ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ে। এর জেরে ম্যানুয়ালি ট্রেন চলাচল করানো হয়। এমন ১৭টি পয়েন্ট থেকে ট্রেনগুলিকে ম্যানুয়ালি আসা-যাওয়া করানো হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে ০২৩০৩ পূর্বা এক্সপ্রেস, ০২৩৫৩ লালকুয়ান এক্সপ্রেস, ০৩০০১ হুল এক্সপ্রেস, ৩০১৫ হাওড়া ভাগলপুর এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়। অন্যদিকে, ০২৩৩১ হিমগিরি এক্সপ্রেস ৩ ঘন্টা ৩৫ মিনিট, ০৩০০৯ দুন এক্সপ্রেস ৩ ঘন্টা ২০ মিনিট, ০২৩২৩ হাওড়া – নিউ দিল্লি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ৫ ঘন্টা ৫ মিনিট নির্ধারিত সময়ে দেরিতে ছাড়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি ১২ নম্বর আপ হাওড়া ব্যান্ডেল, ১০ নম্বর ডাউন ব্যান্ডেল হাওড়া, ০১ পেয়ার আরামবাগ – হাওড়া এবং ০২ পেয়ার হাওড়া – শেওড়াফুলি লোকাল স্পেশাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। অবিরাম বৃষ্টির জেরে সার্কুলার রেল সার্ভিস সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে, দু’দিনের ভারী বৃষ্টিতে জলে ভাসছে বেলুড়ের একাংশ। বেলুড়ের বিধানপল্লীতে কোমর সমান জল। ঘরেও জল ঢুকেছে। রাস্তায় নামানো হয়েছে প্যাডেল বোট। পরীক্ষার্থী এবং অসুস্থ মানুষদের বোটে করে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দিচ্ছে ক্লাবের সদস্যরা এবং স্থানীয় টোটো চালকরা। এই পরিস্থিতিতে পানীয় জল এবং ত্রিপল নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর।