এই মুহূর্তে জেলা

কর্মী সংকটে থমকে গেছে উন্নয়ন , শোচনীয় অবস্থা গোঘাটের পশ্চিমপাড়া পঞ্চায়েতে।

আরামবাগ , ২৭ জুলাই:- রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলিতে কম বেশি কর্মী সংকট চলছে।সরকারি পরিসেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সরকারি আধিকারিক থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি তথা পঞ্চায়েত প্রধানদের। হুগলির আরামবাগ মহকুমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শোচনীয় অবস্থা গোঘাট দুই নম্বর ব্লকে পশ্চিমপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের। এই পঞ্চায়েতে কর্মী সংকট চলায় থমকে গেছে উন্নয়ন বলে দাবী স্থানীয় মানুষের। জানা গিয়েছে, সরকারি স্থায়ী কর্মী না থাকায় গত ২ বছর ধরে থেমে রয়েছে এলাকার উন্নয়ন। রাজ্য সরকারের প্রকল্প গুলি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্র সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। চাপ বাড়ছে বর্তমানে কয়েকজন স্থায়ী কর্মীদের ওপর। তারা সঠিক সময়ে কাজ করে উঠতে না পারায় ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। অভিযোগ এলাকার বহু মানুষকে কাজ নিয়ে পঞ্চায়েতে এসে সমাধান না হওয়ায় ফিরে যেতে হচ্ছে। গোঘাট দু’নম্বর ব্লকের পশ্চিমপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে সেক্রেটারি, একজিকিউটিভ অ্যাসিন্টেন, নির্মাণ সহায়ক ও সহায়ক এই চারজন পঞ্চায়েতের সরকারি কর্মী দীর্ঘদিন যাবৎ নেই।

যেখানে শাসকদল বারবার উন্নয়নের কথা বলছেন সেই উন্নয়ন এখন থমকে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পশ্চিমপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বলে অভিযোগ স্থানীয় মানুষের। এই বিষয়ে পশ্চিমপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রতিমা রুইদাস জানান, দীর্ঘ দুই বছর যাবত পশ্চিমপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজকর্ম তেমন ভাবে করা যায় না। কারণ পশ্চিম পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চারজন সরকারী কর্মী নেই। গোঘাট দু’নম্বর ব্লকের বিডিও কে বারবার জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। বরং অন্য পঞ্চায়েত থেকে সপ্তাহে একদিন করে কর্মী এসে পশ্চিম পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে কাজ করেন।কোনও রখমে চলছে। এই বিষয়ে গোঘাট ব্লক প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, এই কর্মী সংকটের বিষয়টি উচ্চ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। উন্নয়ন ও সরকারি প্রকল্প এলাকার মানুষের কাছে দ্রুত পৌচ্ছে দেওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে।সবমিলিয়ে বলাই যায় গোঘাটের পশ্চিম পাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রীতিমতো হামাগুড়ি দেওয়া অবস্থা।এমনটাই মনে করেন এলাকার বুদ্ধিজীবী মহলের একাংশ।