এই মুহূর্তে জেলা

কলেজ ছাত্রীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ভাঙচুরের চেষ্টা হাসপাতালে।

হাওড়া, ১৫ জুলাই:- এক কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হলো লিলুয়া। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ভাঙচুরের চেষ্টা চালানো হয় জগদীশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। পরিস্থিতি সামাল দিতে লিলুয়া থানা থেকে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। জানা গেছে, বাড়ির পোষা কুকুর কামড়েছিল লিলুয়ার মধ্য-চকপাড়ার বাসিন্দা স্নাতক শ্রেণীর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী দীপশ্রী চক্রবর্তীকে (১৮)। লিলুয়ার কোনা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে অ্যান্টি র‍্যাভিস ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এদিনই অসুস্থ হয়ে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়। তারপরেই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভাঙচুর চালানো হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে ছুটে যায় লিলুয়া থানার পুলিশ।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি, তরুণীর বুকে ব্যথা ও বমি উপসর্গ ছিল। সম্ভবত হার্টের কোনও সমস্যা বা অন্য কোনও কারণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এর সঙ্গে হাসপাতালের গাফিলতি বা ভ্যাকসিনের কোনও সম্পর্ক নেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই আসল কারণ জানা যাবে। যদিও তরুণীর পরিবারের দাবি, ভ্যাকসিন দেওয়ার পরই বুকে ব্যাথা অনুভব করতে থাকে সে। বমিও করতে শুরু করে। একটা সময় সে অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন তাঁর আত্মীয় পরিজন ও প্রতিবেশীরা। উত্তেজিত হয়ে তারাই ভাঙচুরের চেষ্টা করে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এমনকি, মেয়ে মৃত, এটা বিশ্বাস করতে না পেরে তারা মধ্য হাওড়ার অপর একটি নার্সিংহোমেও নিয়ে যায় তাকে।

সেখানেও চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করায় সেখানেও কিছুটা উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও এই প্রসঙ্গে চিকিৎসায় গাফিলতির কথা অস্বীকার করে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাই চন্দ্র মন্ডল বলেন, “ভ্যাকসিন নিয়ে মেয়েটি বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তার বুকে ব্যাথা ও বমি হয়। মৃত অবস্থায় ফের তাঁকে কোনা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসায় গাফিলতি হয়নি। কুকুরের কামড়ে বা ভ্যাকসিন নিয়ে মেয়েটির মৃত্যু হয়নি। মেয়েটি আগে থেকেই হৃদরোগের সমস্যা ছিল। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।