এই মুহূর্তে জেলা

রীতি মেনেই গোঘাটে ধান রোপন করলেন রামকৃষ্ণ মঠের মহারাজরা।


মহেশ্বর চক্রবর্তী, ১২ জুলাই:- রীতি মেনে হুগলির গোঘাটের লক্ষ্মীজোলাতে ধান রোপন করলেন কামারপুকুর মঠ ও মিশনের মহারাজরা। লক্ষীজোলা নামটা কমবেশি অনেকেই তা জানেন, আবার অনেকেই জানেন না। কি এই লক্ষীজোলা? তার ইতিবৃত্ত জানতে গেলে একটু পিছনে ফিরে তাকাতে হবে। শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়কে তার বাল্যবন্ধু শুখলাল গোস্বামী এক বিঘা দশ ছটাক জমি দান করেছিলেন। সেই জমিতে ঠাকুরের পিতা রঘুবীরের নাম নিয়ে আজকের দিনে অর্থাৎ জগন্নাথদেবের রথযাত্রার দিন ধান রোপন করতেন। সেই ধানেতে ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়ের ছোট সংসার অতিবাহিত হত এবং অতিথি আপ্যায়ন হত। তারপরও উদ্বৃত্ত রয়ে যেত। সেই পুরনো চিরাচরিত প্রথা কে সামনে রেখে লক্ষ্মীজোলাতে রথযাত্রার দিন অর্থাৎ জগন্নাথদেবের রথযাত্রার দিন কামারপুকুর মঠ ও মিশনের সাধু সন্ন্যাসীরা লক্ষ্মীজোলাতে ধান রোপন করলেন।

কথিত আছে ঠাকুর রামকৃষ্ণদেবও এই জমিতে তিন গোছ ধান রোপন করেছিলেন। তারপর থেকে চলত বিভিন্ন মানুষদেরকে নিয়ে ধান রোপন পর্ব। সেই প্রথাকে সঙ্গী করে আজ মঠের সাধু সন্ন্যাসীরা রঘুবীরের নাম নিয়ে তিন গোছ ধান রোপন করেন। বাকি জমিতে ধান রোপন করবেন মঠের সাথে যুক্ত অন্যান্য মানুষেরা। এই বিষয়ে কামারপুকুর মঠের অধ্যক্ষ স্বামী লোকোত্তরানন্দ মহারাজ জানান, আজ শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার দিন কামারপুকুর মঠ ও মিশনের ধান রোপনের সুচনা হয়। এর পর থেকে আমাদের ধান রোপন চলবে। ধান রোপন করার অর্থ হচ্ছে এদিন ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় ভগবান রঘুবীরের নাম করে ধান রোপন করতেন। ভগবান রঘুবীরের কৃপায় এই জমিতে এত ফসল উৎপন্ন হতো যে ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়ের সংসার চলার পাশাপাশি উদ্বৃত্ত হতো। তাই সেই প্রথাকে বজায় রেখে আজও কামারপুকুর মঠ ও মিশনের পক্ষ থেকে এই পবিত্র দিনে ধান রোপন হয়। সবমিলিয়ে এদিন গোঘাটের লক্ষ্মীজোলায় কামারপুকুর মঠ ও মিশনের পক্ষ থেকে এই পবিত্রদিনে ধান রোপনের কাজ হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ।