হুগলি, ২৪ জুন:- এবারের মাহেশের রথযাত্রা ৬২৫ বছরে পরলো, তার ঠিক ১৫ দিন আগে বৃহস্পতিবার হলো মহাপ্রভুর স্নানযাত্রা পর্ব। মহামারীর করাল গ্রাসে থমকে গিয়েছে সব কিছু, তারই ছায়া পরলো মাহেশে জগন্নাথ মন্দিরে। এই পার্বনটিকে পালন করার জন্য গুটিকয়েক ব্রাহ্মণ এবং সেবাইতদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো প্রভুর স্নানযাত্রা। বিগত বছর গুলোতে বিখ্যাত মাহেশের জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা হতো মন্দির সংলগ্ন স্নান পিঁড়ির ময়দানে। আর এই স্নানযাত্রা দেখার জন্য বহু দুর দুরান্ত থেকে ভক্তরা এসে এই স্নানপিঁড়ির ময়দানে জড়ো হতো। কিন্তু সে সব দিন আজ অতীত। করোনা বিধি মেনে খুব কম সংখ্যক ভক্তদের উপস্থিতিতে মূল মন্দিরের
ভেতরেই অস্থায়ী বেদীতে স্নান মন্দির তৈরি করে সেখানেই পালন করা হলো জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উৎসব। দুপুর ১,৩০ মিনিটে তিন বিগ্রহকে স্নান করানো হয় ২৮ ঘড়া গঙ্গাজল ও দেড়মোন দুধ দিয়ে। কথিত আছে কাল থেকে জগন্নাথের জ্বর আসবে, বিভিন্ন জেলা থেকে কবিরাজ এসে চিকিৎসা করবে। পাচন দেবে। জ্বর কমলে অঙ্গরাগ হবে। মূর্তি রং হবে। স্নানযাত্রার ১৫ দিন পর রথ। এই সময় কোনো পুজো হবে না মন্দিরে। ইতিমধ্যেই মন্দির কমিটির ঘোষনা মত করোনার আবহে গত বছরের মতো এবছরও স্থগিত হয়ে গেছে মাহেশের ৬২৫ বছরের ঐতিহাসিক বিখ্যাত রথযাত্রা। এবারেও জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা রথে চেপে নয়, মূল মন্দির থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে মাসির বাড়িতে নারায়ন শিলাকে নিয়ে যাওয়া হবে রথের দিন।