কলকাতা , ১৬ জুন:- স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি মাস্কের চাহিদা ক্রমশই বাড়ছে। গত এক মাসে স্বনির্ভরগোষ্টি ব্যাপক মাস্ক তৈরি করে বড় সমস্ত কোম্পানিগুলোকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। শুধু এই রাজ্যে নয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতের তৈরি মাস্ক এখন ভিন রাজ্যে পারি দিচ্ছে। করোনার প্রাদুর্ভাব ক্রমশ বেড়ে যাওয়ার মাস্ক তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন মহিলারা। বাজারের বিক্রি হওয়া মাস্ক থেকে স্বনির্ভর গোষ্টির তৈরি মাস্ক অনেকটা সুরক্ষিত হওয়ায় এদের তৈরি জিনিসের চাহিদা বাড়ছে বলে অনেকেই মনে করছেন। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হাওড়া হুগলী, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দার্জিলিং জেলায় ১৪ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা গত কয়েকদিনে প্রায় লক্ষাধিক মাস্ক তৈরি করেছেন। প্রতিটি মাস্কের খরচ পড়ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দপ্তর সূত্রে বলা হয়েছে ডবল লেয়ারের মাস্ক প্রশাসনের আধিকারিকদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু এখন চাহিদা বেড়ে যাওয়ার বাজারে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি মাস্ক ব্যাপক হারে বিক্রি হচ্ছে। দপ্তরের কর্তারা জানান, প্রথমে সুতির কাপড়ের সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
লকডাউন থাকায় সুতোর যোগান কম হচ্ছিল। কিন্তু পরে প্রশাসনের আধিকারিকদের তৎপরতায় সেই সমস্যা মিটে গেছে। দপ্তরের দাবি, মাস্ক তৈরি হয় মোটা কাপড়ের ডবল লেয়ার দিয়ে। মাস্ক নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে সেলাই করা প্রয়োজন। আর তা ছাড়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সেলাই মেশিন নেই। কিন্তু সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গুলি সাহায্য করায়, সেলাই মেশিনের সমস্যা মিটে গেছে। বর্তমানে শুধু ভিন রাজ্যগুলোতে নয়। বিদেশের মাটিতেও পাড়ি দিচ্ছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতের তৈরি মাস্ক। দপ্তরের আধিকারিকরা বলেন, তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল লকডাউন এবং করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কি করে এই পরিস্থিতি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাজে যুক্ত করা যায়। পরে ঠিক হয় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে এক মিটার দূরত্ত্বে বসে বা সেন্টারে বসে কাজ করতে পারবেন। প্রয়োজনে বাড়িতে কাঁচা মাল নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। আর যে ঘরে কাজ হবে, সেখানে সানিটাইজ করতে হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি মাস্ক সরবরাহের জন্য এবং মহিলারা যাতে কর্মস্থলে যেতে পারেন তার জন্য পুলিশ সাহায্য করবে।