এই মুহূর্তে জেলা

ইয়াসের আগেই টর্নেডো , তছনছ হুগলীর বিস্তীর্ণ প্রান্ত !

হুগলি , ২৫ মে:- ইয়াসের ল্যান্ডফল এখনো হয়নি তার আগেই কয়েক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে পড়ল গাছ, উড়িয়ে নিয়ে গেলো ঘরের চাল। ব্যান্ডেল, চকবাজার এলাকার ঘটনা। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ড কালিতলা এলাকা ব্যান্ডেল চার্চের সামনের কয়েকটি দোকান উড়িয়ে ফেলে দেয় রসভরা খালে। গাছ পড়ে ঘরের টালির চাল ভেঙে যায়। টিনের চাল পাক খেতে খেতে উড়ে যায় বহু দূরে। ইয়াস পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে উড়িষ্যার দিকে গতি পথ বদলেছে। এতে রাজ্যবাসীর কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবার কথা। ইয়াসের প্রভাবে হুগলিতে ভাড়ি থেকে অতি ভাড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার দফায় দফায় ভাড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। ঝড় যেমনই হোক কাঁচা বাড়ি নদী তীরবর্তী স্থানের বাড়িতে বসবাস কারীদের আশ্রয় শিবিরে থাকার ব্যবস্থা করে প্রশাসন। সেই মত হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের কালিতলা থেকে কিছু মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছিলো। কিছু গাছের ডাল পালা ছাঁটা হচ্ছিল দুপুর বেলায়। এমন সময় হঠাৎ প্রচন্ড জোরে ঘূর্ণিঝড় এসে ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেলো। গাছ ভেঙে পড়ে কয়েকটি বাড়ির চাল ভেঙে পড়ে।

ব্যান্ডেল চার্চের সামনে মোমবাতি যীশুর মূর্তি ক্রশ বিভিন্ন খেলনা বিক্রির দোকান রয়েছে। ঝড়ে সেই দোকান উড়িয়ে নিয়ে ফেলে রসভরা খালে নিয়ে গিয়ে ফেলে। দোকানের ক্ষতি হয় প্রচুর। ওই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর ঝন্টু বিশ্বাস বলেন,আমরা বাসিন্দাদের বারবার বলছি আশ্রয় শিবিরে চলে যেতে তারা শুনছে না। অনেকেই ভাবছে ঝড় কালকে আসবে আবার কেউ কেউ ভাবছে ঝড় হবে না। কিন্তু কয়েক মিনিটের ঝড়ের যে তান্ডব দেখলাম তাতে ভয় হচ্ছে ইয়াস এলে কি হবে। সবাইকে বলেছি নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে। কালিতলার বাসিন্দা কাকলি মন্ডল বলেন, সব শেষ হয়ে গেলো।ঝড় বলেছিলো কালকে আসবে। আজকে হঠাৎ ঝড়ে দোকান উড়িয়ে ফেললো। অনেক কষ্টে দোকানে মাল তোলা হয়েছিল সব শেষ হয়ে গেলো। লকডাউনের জন্য দোকান বন্ধ। স্বামী গঙ্গায় মাছ ধরে তা দিয়ে কোনো ভাবে সংসার চলে। এখন কি করে চলবে জানি না, বলে কাপড়ের আঁচল দিয়ে চোখ মোছেন কাকলি।