এই মুহূর্তে জেলা

সস্ত্রীক দ্বৈরথ, খুশির হাওয়া সিঙ্গুরের মান্না পরিবারে!

তরুণ মুখোপাধ্যায় , ৩ মে:- ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পর সিঙ্গুরের ভূমি আন্দোলনের মাটি গেরুয়া ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেচারাম কে বলেছিলেন যে ভাবেই হোক আমাদের আন্দোলনের পুন্য ভূমি থেকে এই সমস্ত বহিরাগতদের বিদায় করতে হবে। শুধু বেচার হাতে নয় লড়াই এর জন্য হরিপালে ও তার সহধর্মিণী করবীর হাতে তুলে দিয়েছিল তৃণমূলের বাটন। দিদির সেই কথা অক্ষরে অক্ষরে মর্যাদা রেখেছেন মান্না দম্পতি। গত দেড় মাস ধরে রাত দিন এক করে গ্রামের পর গ্রাম ছুটে বেড়িয়েছেন তারা। বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতি বিরুদ্ধে মানুষের কাছে বার্তা দিয়েছেন । তাদের সেই চেষ্টার ফসল আসতে আরম্ভ করল গতকাল সকাল থেকেই। যখন গণনা কেন্দ্র থেকে সিঙ্গুরের একের পর এক রাউন্ডের জয়ের খবর কেন্দ্র আসতে আরম্ভ করলো তখনই সংগ্রামী কৃষক পরিবারের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সহ সিঙ্গুরের সাধারন মানুষ দিদির জয় ধ্বনিতে মেতে উঠেছে।

শুধু সিঙ্গুর নয় হরিপাল সেখান থেকেও যখন জয়ের খবর এলো তখন আনন্দে মাতোয়ারা হরিপাল এবং সিঙ্গুরের মানুষ ছুটে এসেছেন বেচারাম এর বাড়িতে। বিজয়ী যুগলকে অভিনন্দন জানিয়ে গিয়েছিলেন রাতেই। আর আজ সকাল হতে সেই চিত্রটা আরো বহুগুণ বেড়ে গেল। আশপাশের সমস্ত মানুষজন এসে ভিড় জমিয়েছেন মান্নাবাড়িতে। ফুলমালা সহ সবুজ আবির শঙ্খধ্বনিতে বরণ করে নিল একাবারে নব দম্পতির মতন । বাস্তবিক খুশি সকলের সঙ্গেও বেচারাম ও করবি। অন্যদিকে সিঙ্গুরের মানুষ তৃণমূলের জয়ের পর ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন যে মাস্টারমশাই যার সঙ্গেএই আন্দোলনে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সিপিএম হার্মাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখেছিলাম আজ সেই রবীন্দ্রনাথ বাবু কিনা এই বয়সে এসে তিনি দলের সঙ্গে বেইমানি করে বিজেপিতে ভিড়লেন। তার ফলও হাতে হাতে তিনি পেয়ে গেছেন গতকাল ফল বেরোবার পর থেকেই পুরোপুরিভাবে ঘরবন্দি মাস্টারমশাই। অন্যদিকে বেচারাম এবং করবি দুজনই জানিয়েছেন এই জয় বাংলার মমতাময়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় এই জয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় এই জয় উন্নয়নের জয় আমরা আজীবন দিদির এই কর্মযজ্ঞে শামিল থাকবো।