ব্যারাকপুর , ১২ এপ্রিল:- দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুরুতর জখম এক বিজেপি কর্মী। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটি থানার গিরিশ ঘোষাল রোডের পালবাগানের হিন্দি স্কুলের সামনে। অভিযোগ, বিজেপি পার্থী ফাল্গুনী পাত্র ওইদিন রাতে শ্যামসুন্দরী তলার রক্ষা কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যাবার পরই অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এদিকে এই হামলার ঘটনায় ৩৩ বছর বয়সী এক বিজেপি কর্মী মিঠুন পাসোয়ানের হাতে গুলি লাগে। এরপর দুষ্কৃতীরা তার মাথা চপার দিয়েও আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় জখম বিজেপি কর্মী মিঠুনকে প্রথমে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে কোলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে পালবাগান এলাকায়। এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে জখম বিজেপি কর্মী মিঠুনের দাদা জিতেন্দ্র পাসোয়ানের অভিযোগ,রবিবার রাতে দলীয় পার্থী ফাল্গুনী পাত্র শ্যামসুন্দরী তলার রক্ষা কালী মন্দিরে পুজো দিতে এসেছিলেন। সেই সময় ভাই মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে আমারাও ওখানে যাই। পার্থী পুজো দেবার পর ভাই মিঠুন ও আমার সঙ্গে কথা বলে এলাকা ছেড়ে চলে যায়।
এরপর মিঠুন সহ আমারা তিনজন বাড়ি ফিরছিলাম। সেই সময় রামকৃষ্ণ মোড় বরদা ব্রিজের কাছে ৩০-৪০ জনের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের ওপর আক্রমণ চালায়। তার দাবি উমেশ সিং, রবি, কালু ,রাম, বিষ্ণু ,লাউ, অভিজিৎ, অজয় দলবল নিয়ে ভাইয়ের ওপর পরিকল্পনা করে এই আক্রমণ চালিয়েছে। তার দাবি ওরা পরপর চার রাউন্ড গুলি চালায়। একটি গুলি ভাইয়ের হাতে লাগে। এমনকি যাবার সময় ওরা চপার দিয়ে ভাইয়ের মাথায় আঘাত করে। জখম বিজেপি কর্মী মিঠুনের দাদার আরও অভিযোগ,বিজেপি করি বলেই আমাদের ওপর এই ধরনের আক্রমণ করেছে তৃণমূলের গুন্ডারা। অপরদিকে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নৈহাটির প্রাক্তন পুরপ্রধান অশোক চ্যাটার্জি। তার দাবি এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক আছে বলে মনে করি না। এই ঘটনাটি দুজন মাতালের কর্মকান্ড। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোন যোগসূত্র নেই। চপার,গুলি, বোমাবাজিতে তৃণমূল কংগ্রেস বিশ্বাস করে না। তার কথায় আমি প্রত্যক্ষদর্শী নই। তবে যে দুজনের নাম উঠে আসছে মদ খেয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলার ফলেই এই ঘটনা।