সুদীপ দাস , ২১ ফেব্রুয়ারি:- ওরা কেউ দেবদারু, কেউ শাল, আবার কেউ শিশু! বয়স কম করে ৪০ কেউ কেউ আবার বহু ইতিহাসের স্বাক্ষী থেকে শতবর্ষ পার করেছে। কিন্তু তাতে কি! দেশের প্রশাসনিক কর্তা বলে কথা। তাই তাঁর ঘন্টা দু’য়েকের আগমনের জন্য শতাধিক বছরের পুরনো গাছও কোন ছার। তাই সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্যোগেই করাত-কুঠারের আঘাতে ফালাফালা হলো শাল-শিশুরা। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য সেই গাছগুলি অবলীলায় কাটা হলো। তবে গাছকাটার খবর পেয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ। এই মর্মে তাঁরা সেখানে পোষ্টারও লাগিয়েছে।
তবে যাদের টনক নড়ার কথা তাঁরাই যে সে গাছগুলি কেটে ফেলেছে। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্য শঙ্কর ভট্টাচার্য্য বলেন বর্তমান বিশ্ব উষ্ণায়নের যুগে সরকারি উদ্যোগে বনমহোৎসব হয়, হয় পরিবেশ দিবস পালন কিংবা বৃক্ষ রোপণ! কিন্তু ভি.ভি.আই.পিদের নিরাপত্তার জন্য সেই বৃক্ষই অবাধে নিধন হয়। বৃক্ষনিধন নিয়ে যে দলই যাই বলুক না কেন, মানুষের দ্বারা গাছ কাটা আর মনুষ্যসমাজের নিজেদের গাছ কুড়োল চালানো দুটোয় যে সমান তা বোধহয় বুঝেও বোঝে না মানুষ! তাইতো দেশের প্রশাসনিক প্রধানের ১০০মিনিটের জন্য ১০০বছরের পুরনো গাছের উপর আজও অবাধেই করাত চলে!!