এই মুহূর্তে জেলা

স্বাস্থ্যসাথীর মাধ্যমে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন দুর্ঘটনায় দুই পা হারানো রোলিং মিলের শ্রমিক।

হাওড়া , ২০ ফেব্রুয়ারি:- রোলিং মিলে কাজ করতে গিয়ে বছরখানেক আগে ঘটেছিল দুর্ঘটনা। ওই দুর্ঘটনায় দুটি পা সারা জীবনের জন্যে হারাতে হয়েছিল। এতে কার্যত মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছিল হাওড়ার লিলুয়ার অগ্রসেন স্ট্রিটের বাসিন্দা ডানকুনির রোলিং মিলের শ্রমিক অনুপ কুমার সিংয়ের। মিল কর্তৃপক্ষ তাঁর সব চিকিৎসা এবং কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অভিযোগ, এখনো পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতি পালন হয়নি। এই পরিস্থিতিতে চরম সমস্যায় পড়েন অনুপ। কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ায় প্রায় এক বছর কার্যত বিনা চিকিৎসায় ছিলেন তিনি। পরে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করার কথা জানতে পেরে সেই কার্ডের জন্য আবেদন করেন তিনি।

সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মন্ত্রী অরূপ রায় বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারটির পাশে দাঁড়ান। অনুপের উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের। বৃহস্পতিবার সেই কার্ড অনুপের পরিবার হাতে পান। অনুপ জানান, হুগলির ডানকুনির একটি রোলিং মিলে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি। ঐদিন মিলে তিনি কাজ করছিলেন। কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত তার দুটি পা মেশিনের ভেতর ঢুকে যায়। ওই অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাওড়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসা এবং কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।

কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি এখনও পর্যন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ রাখেননি। এরপর কোভিডে লকডাউনের সময় থেকে কার্যত প্রায় বিনা চিকিৎসায় এতদিন তিনি পড়েছিলেন। এরপর রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এর জন্য তিনি সরকারের কাছে আবেদন করেন। যোগাযোগ করেন প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর কৈলাশ মিশ্র এবং মন্ত্রী অরূপ রায়ের সঙ্গে। সেই আবেদনে সাড়া মেলে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পান অনুপের পরিবার। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেয়ে অনুপবাবু আবারও তাঁর পায়ের চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন, তাও আবার বিনা খরচে। এই ভেবেই খুশি অনুপ এবং তাঁর পরিবার।