এই মুহূর্তে কলকাতা

ভোটের আগে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে বড়সড় রদবদল।

কলকাতা , ১ ফেব্রুয়ারি:- ভোটের আগে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে বড়সড় রদবদল ঘটে গেল। জয়েন্ট সিইও শৈবাল বর্মন, অ্যাডিশনাল সিইও অনামিকা মজুমদার ও ডেপুটি সিইও অমিজ্যোতি ভট্টাচার্য্যকে সরিয়ে দেওয়া ঘল তাঁদের পদ থেকে। কি কারণে এই তিনজনকে সরানো হয়েছে তা নির্দিষ্ট করে কোনও কারণ দর্শানো হয়নি। তবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে এই তিন দুঁদে আধিকারিকের বদলির ঘটনায় অনেকেই হতবাক। যদিও কমিশন এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি। আর কয়েকদিনের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের ৫টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। ঠিক তাঁর আগেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সিইও শৈবাল বর্মন, যুগ্ম সিইও অনামিকা মজুমদার এবং ডেপুটি সিইও অমিতজ্যোতি ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা কার্যত রাজ্যের নির্বাচনী ইতিহাসে একেবারেই নজিরবিহীন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এর দফতর থেকে কখনও কোনও অফিসারকে সরানো হয়নি। এদিন দিল্লি থেকে কমিশনের তরফে এই সিদ্ধান্তের কথা সিইও অফিস এবং রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। শৈবাল বর্মন সাধারণত এমসিসি অর্থাৎ মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট এবং আইন-শৃঙ্খলা দেখতেন। অনামিকা মজুমদার দেখতেন ইভিএম এবং ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ পর্ব। অমিত জ্যোতি ভট্টাচার্য দেখতেন মিডিয়া সেল এবং ভোটের প্রচার সংক্রান্ত সমস্ত কাজকর্ম। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা এই তিন অফিসারকে এর মধ্যে একজন আইএএস অফিসার অপর দুজন ডাবলুবিসিএস অফিসার।

যদিও এদিন কেন এই ৩ আধিকারিককে এদিন সরানো হল সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি নির্বাচন কমিশন। এদের শূন্যস্থান পূরণের জন্য এখন সিইও অফিস থেকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য নয়জন অফিসারের নাম পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। সেখান থেকেই তিনজনের নাম চূড়ান্ত হয়ে রাজ্যকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। খুব দ্রুত ওই পদে নতুন আধিকারিকদের নিয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে এদিন সব থেকে বড় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই ৩ আধিকারিককে অপসারনের জন্য কমিশন সরকারিভাবে কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করেনি। এরা তিনজনেই দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে ডেপুটি সিইও পদে কর্মরত ছিলেন। কমিশন যদিও এই নির্দেশকে ভোটের আগে রুটিন বদলি হিসেবেই দাবি করেছে। যদিও রাজনৈতিক মহলের মত, এই বদলির পিছনে গেরুয়া শিবিরের ইন্ধন রয়েছে। কারন সম্প্রতি এ রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের কাছে বিজেপি-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলো আবেদন করেছিল, যে আধিকারিকরা দীর্ঘদিন ধরে কমিশনের অফিসে কাজ করছেন, সেই অফিসারদের কেন বদলি করা হচ্ছে না? নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে তিন বছর অন্তর বদলি করা হয়। কিন্তু এই তিন ডেপুটি সিইও-র ক্ষেত্রে তেমনটা কেন হয়নি? এই প্রশ্ন তুলেছিল মূলত বিজেপি্র প্রতিনিধিদল। তারপরই নির্বাচন কমিশনের আজকের এই পদক্ষেপ।