কলকাতা , ২১ জানুয়ারি:- রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় গ্রামে ঢুকে মানুষদের ভয় দেখাচ্ছে বিএসএফ। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছে বিএসএফ। দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরার সঙ্গে দেখা করে এই অভিযোগ জানাল তৃণমূল। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সহ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার দশটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে পার্থ বলেন,’আমরা লক্ষ্য করে দেখছি সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বিএসএফের যারা দায়িত্বে আছেন তারা একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সহায়তা করার জন্য মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। তারা বলছে তোমরা যদি ভোট না দাও তাহলে জেলাশাসক তোমাদের ক্ষমতায় রাখতে পারবে না। আমরাই সীমান্তে থাকব। এটা একটা ভয়ঙ্কর অভিযোগ। আমরা বলেছি অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক।’
ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের নাগরিকদের নাম ঢোকানোর যে অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ করেছেন তা খারিজ করে দিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব। দিলীপ অভিযোগ করেন, কমপক্ষে ৪-৫ লাখ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী নাগরিকের নাম ভোটার তালিকায় তোলা হয়েছে। রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে ‘দিশেহারা ঘোষ’ বলে কটাক্ষ করে পার্থ বলেন,’ভোটার তালিকার কাজ করে নির্বাচন কমিশন। এটা নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। বিজেপি এমন একটা পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে যাতে মানুষের আস্থা বিঘ্নিত হয়।’ প্রতিটি ইভিএম মেশিন ও ভিভিপ্যাট যাচাই করে যতক্ষণ না সব রাজনৈতিক দল সন্তুষ্ট হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত মকপোল করার দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির বিরুদ্ধে ভাষা সন্ত্রাস নিয়েও মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল।