এই মুহূর্তে জেলা

প্রয়োজনে নতুন কর্মচারী নেওয়া হবে , পুরসভার অস্থায়ী কর্মচারীদের আন্দোলনকে চ্যালেঞ্জ বিধায়কের।

সুদীপ দাস , ১৯ জানুয়ারি:- বেতন বৃদ্ধির দাবীতে হুগলি-চুঁচুড়া পৌরসভার অস্থায়ী কর্মচারীদের আন্দোলন নতুন নয়। গত বছর করোনা আবহের মধ্যেই তাঁরা তাঁদের আন্দোলন জারি রেখেছিলো। একের পর এক আন্দোলন মিটিং মিছিলে সরগরম হয়ে উঠেছিলো পুরসভা। জেরবার হয়েছিলো নাগরিক পরিষেবা। অস্থায়ী কর্মচারীদের দাবী মেনে নিয়ে সেসময় পৌরসভা জানিয়েছিলো আপাতত তাঁদের দৈনিক ৩০ টাকা করে বেতন বৃদ্ধি হবে। দাবীমত বাকি ৩০টাকা অর্থাৎ দৈনিক ৬০ টাকা করে জানুয়ারি মাসের প্রদেয় বেতনেই বাড়ানো হবে। চলতি মাসে বেতন হলেও বর্ধিত ৩০ টাকা না মেলায় পুনরায় আন্দোলনে সামিল হয়েছে অস্থায়ী শ্রমিকরা। এই অস্থায়ী শ্রমিকদের মধ্যে সিংহভাগই সাফাই কর্মী।

মঙ্গলবার শ্রমিক নেতা রাধেশ্যাম শঙ্খবনিকের নেতৃত্বে শ্রমিকরা পৌরসভা থেকে এক মিছিলের আয়োজন করে। মিছিল হাসপাতাল রোড ধরে চুঁচুড়া ঘড়ির মোড়ে গিয়ে সমাপ্ত হয়। সেখানে এক প্রতিবাদ সভা আয়োজিত হয়। সভা চলাকালীন তাঁদের দাবীদাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয় সদর মহকুমা শাসককে। দাবী না মিটলে আগামীদিনে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ারও হুমকি দেয়। যদিও শ্রমিকদের এই ধারাবাহিক আন্দোলনের পিছনে বিরোধীদের মদত রয়েছে বলে দাবী চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের। বিধায়ক বলেন জন-পরিষেবা বন্ধ করে কোনভাবেই আন্দোলনকে সমর্থন করা যায় না। অস্থায়ী শ্রমিকরা নিয়ম মেনে ৮ ঘন্টা করে কাজ করে না। তাও তাঁদেরকে বেতন দেওয়া হয়। এভাবে পরিষেবা বন্ধ করে আন্দোলন করলে বেতন কাটার পাশাপাশি নতুন বেকার যুবকদের কাজে নেওয়া হবে।