এই মুহূর্তে জেলা

শিলিগুড়ি মহকুমার বিধাননগরের কাজিগছে খাঁচা পাতা হলেও অধরা চিতাবাঘ , জারি ১৪৪ ধারা ।


শিলিগুড়ি , ৩১ ডিসেম্বর:- খাঁচা পাতা হলেও এখনও অধরা চিতাবাঘ। ব্যাপক আতঙ্ক গোটা এলাকায়। এর পাশাপাশি ওই এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ভবেশ কুমার সিং জানিয়েছেন গতকাল দুপুর থেকে চিতাবাঘটি ধরার জন্য চেষ্টা চালায়। এরপর রাত হয়ে যায় কিন্তু ধরতে বাঘটিকে ধরতে না পারায় অবশেষে খাঁচা পাতে বনবিভাগ। তবে এখনও পর্যন্ত ধরতে পারেনি। এর জন্য আমরা এখন আতঙ্কের মধ্যে আছি। আমাদের ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে থাকতে হয়। আর আমরা রাত্রিবেলা বনবিভাগের তরফ থেকে বোম ফুটিয়েছে। আমাদের মনে হয় বাঘটিকে তারানোর জন্যই বোম ফাটিয়েছে। অপর দিকে এই বিষয়ে কার্শিয়াং ডিভিশনের এডিএফও চিন্ময় বর্মন বলেন যে গতকাল থেকে আমরা বাঘটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করি এবং রাতে আমরা ছিলাম। গোটা এলাকা আমরা খুঁজে দেখেছি বাঘটি বেরিয়ে গেছে। আর আমরা এই এলাকায় আজকেও টহলদারি চালাবো। গতকালকেই আমরা খাঁচা পেতেছি। এবং এই এলাকার মানুষযাতে অহেতুক ভয় না পায় তার জন্য পুলিশ ও আমাদের তরফ থেকে প্রচার করছি। আর একা একা কেউ যাতে রাত্রি বেলা না বের হয়। যদি কেউ বাইরে বের হয় লাইট জ্বালিয়ে তিন চারজন একসাথে যেন বের হবেন।

এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে আহত হয়েছে তাকে সরকারি ভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আর ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। যদিও এই এলাকাটি নজরে রেখছি। বনদপ্তর সব সময় মানুষকে সাহায্য করার জন্য তৈরি আছে। প্রসঙ্গত বুধবার কাজিগছ এলাকার একটি ক্ষুদ্র চা বাগানে পাতাণ তুলতে গিয়েছিল মিনতি পাহান (১৫) নামক ওই কিশোরী। এরপর সেখানে একটি চিতাবাঘ তার উপর অচমকা হামলা চালায়। এতে সে পিঠে ও মাথায় জখম পায়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যায়। এরপর স্থানীয়রা কিশোরীকে উদ্ধার করে বিধাননগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করে। স্থানীয়দের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বনবিভাগের একাধিক দল পৌঁছে যায়। শুকনা ওয়াইল্ডলাইফ স্কোয়ার্ড, বাগডোগরা এলিফ্যান্ট স্কোয়ার্ড, বাগডোগরা ও ঘোষপুকুর রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌচ্ছায়। পাশাপাশি বিধাননগর ফাঁড়ির বিশাল পুলিস বাহিনী গোটা এলাকা ঘিরে রাখে। এবং বাঘটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু গতকাল ধরতে পারেনি। এরপর খাঁচা পাতা হয়। কিন্তু এখনও অধরা চিতাবাঘ।