এই মুহূর্তে জেলা

‘ক্ষমতা থাকলে জাতীয় সঙ্গীত বদলে দেখাক’, কোচবিহার থেকে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কোচবিহার , ১৬ ডিসেম্বর:- জাতীয় সঙ্গীত প্রশ্নে বিজেপিকে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারের জনসভা থেকে মমতা হুঁশিয়ারি দিলেন, ক্ষমতা থাকলে ‘জন গণ মন’ বদলে দেখাক বিজেপি। বিজেপিকে এই মর্মে তুলোধনা করে ছাড়লেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও কেন্দ্রের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে গর্জে ওঠেন তিনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বুধবার কোচবিহারে জনসভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি। একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারকে রীতিমতো তুলোধনা করেন। এরপরই ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’ পরিবর্তন ইস্যুতে সরাসরি বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “কেউ বলছে জন গণ মন পালটে দেবে। দেখি কার কত ক্ষমতা! দেখাক জন গণ মন পরিবর্তন করে।” এদিন রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান নিয়ে বিজেপির টুইটকেও একহাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, এই দলটা যাঁরা করে তাঁরা বিশ্বকবির জন্মস্থান নিয়েও ওয়াকিবহাল নন। তাঁরা আবার বাংলা দখল করবে। বাংলার মানুষ ভেবে দেখুন এই বিজেপিকে আনলে কী ফল হবে। বাংলার সর্বনাশ হয়ে যাবে বিজেপি এলে। উল্লেখ্য, জাতীয় সঙ্গীতে বদলের দাবিতে গত ১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লেখেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর দাবি ছিল, সিন্ধু প্রদেশ যেহেতু এখন আর ভারতের অংশ নয়, তাই জাতীয় সঙ্গীতে ব্যবহৃত ‘সিন্ধু’ শব্দটি ছেটে ফেলতে হবে। স্বামীর মতে, বর্তমান জাতীয় সঙ্গীতের একাধিক শব্দ অনাবশ্যক সংশয় তৈরি করছে। কাকে বা কোন জায়গাকে উদ্দেশ্য করে তা লেখা স্বাধীনতা পরবর্তী প্রেক্ষিতে তা অস্পষ্ট। রবীন্দ্রনাথের লেখা ‘আসল’‘জন গণ মন’র পরিবর্তে বিজেপি সাংসদ ১৯৪৩-এ নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজের গাওয়া ‘শুভ সুখ চ্যান’ গানটি জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করতে অনুরোধ করেছেন। এই বিষয়টি মোটেও ভালভাবে নেয়নি তৃণমূল। প্রথম থেকেই এর তীব্র বিরোধিতা করেছন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।