কলকাতা , ৯ ডিসেম্বর:- গত দশ বছর ধরে মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কী কাজ করেছে তার যাবতীয় খতিয়ান তুলে ধরে আগামীকাল দলের তরফে একটি রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করা হবে। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর গত এক দশকে কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী স্বাস্থ্যসাথীর মতো বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল ওই রিপোর্ট কার্ডে তুলে ধরা হবে। কলকাতায় সরকারের প্রথম সারির মন্ত্রীরা সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই রিপোর্ট কার্ডের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেবেন। পরে জেলা স্তরে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সরকারের সাফল্য তুলে ধরা হবে। এই উপলক্ষ্যে বঙ্গধ্বনি নামে এক নতুন প্রচার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হচ্ছে বলেও তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে। আগামী শুক্রবার থেকে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে তা শুরু হবে।
শুক্রবার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে সাংবাদিক সন্মেলন এবং মিছিল করে শুরু হবে ‘বঙ্গধ্বনি’ যাত্রার প্রচার অভিযান। আগামী ১০ দিনে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে তিন থেকে পাঁচটি দল যাত্রা শুরু করবে ধারাবাহিকভাবে। জানা গিয়েছে ওই যাত্রায় চার হাজার নেতা ৯৫০টি দলে ভাগ হয়ে ২৭ হাজার ৫০০ এলাকায় যাবেন। রাজ্যের প্রায় আড়াই লক্ষ কিলোমিটার জুড়ে ১ কোটি মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবেন ওই প্রচারের দায়িত্বে থাকা নেতানেত্রীরা। তৃণমূলের দশ বছরের রিপোর্ট কার্ড বাংলার প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়াই হচ্ছে মূল লক্ষ্য। সেই সঙ্গে দেওয়া হবে ২০২১ সালের ‘দিদিকে বলো’ পকেট ক্যালেন্ডার।
এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে তিনটি করে দল গঠন করা হয়েছে। যারা নিজেদের এলাকায় সমগ্র প্রচারের কাজ সম্পন্ন করবেন। এই তিন দলের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর দল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। জেলা সভাপতি বা সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীদের রাখা হয়েছে এই তালিকায়। মূলত তাঁরাই সমগ্র অভিযান পরিচালনা করবেন।এই প্রচার অভিযানের প্রতিটি মুহূর্তের উপরে নজরদারি চালাবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রতিটি মিনিটের রিপোর্ট পাঠাতে হবে দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে। প্রচারের জন্য বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থাও করতে হবে। যেখানে দলীয় প্রতীক এবং নেত্রীর বড় ছবি থাকবে।সূত্রের খবর, গত দেড় বছর ধরে ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের টিম যে কাজ করেছে তার ভিত্তিতেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। দিল্লি বিধানসভা ভোটে উন্নয়নকে সামনে রেখেই যাবতীয় জবাব দিয়েছিল কেজরীওয়াল। সেই উন্নয়নকে সামনে রেখেই এবার ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল।