এই মুহূর্তে কলকাতা

পূর্ব মেদিনীপুরে দল বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ নেত্রীর।

কলকাতা , ৪ ডিসেম্বর:- শুভেন্দু অধিকারীর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা কল্পনার মধ্যেই তিনি ও তাঁর অনুগামীদের প্রতি কড়া বার্তা দিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে দল বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নাম না করলেও নেত্রীর এই নির্দেশ যে প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে তা নিয়ে দলের অন্দরে কোন সংশয় নেই। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী যাঁকে এই নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের সেই জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী। যিনি ঘটনা চক্রে শুভেন্দুর বাবা। জেলায় দল বিরোধী কাজ কর্ম নিয়ে মমতা আজ যে ভাষায় তাঁর কাছে উষ্মা প্রকাশ করেছেন তাতে গোটা অধিকারী পরিবারকেই বার্তা দেওয়া হচ্ছে বলে তৃণমূল নেতাদের একাংশের অভিমত।

এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার নেতৃত্ব, সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠক করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ওই বৈঠকে পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীর যোগদান নিয়ে প্রথম থেকেই জল্পনা ছিল। শেষ পর্যন্ত ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে বৈঠকে যোগ দেন তিনি। বৈঠকের মধ্যে শিশিরবাবুকে মমতা বলেন, ‘পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় দলবিরোধী কাজ চলছে। বিশেষ করে কাঁথি, নন্দীগ্রাম ও হলদিয়ায় দলবিরোধী কাজকর্ম বন্ধ করতে হবে। যারা দলবিরোধী কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে।’

এছাড়া হলদিয়া ও নন্দীগ্রামের ব্লক সভাপতি পরিবর্তনেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে নাম না করে এদিন নাম না করে বিদ্রোহীদের বারতা দেন মমতা। বলেন, ‘ভোট এলেই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে বিজেপি ভয় দেখায়। আমাদের এসব রুখতে হবে। যারা লুঠেরাদের সঙ্গে যেতে চায় যাক। যারা সাহস করে আমার সঙ্গে থাকতে চান তাদের নিয়েই লড়বো।’এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের আন্দোলন আরও জোরদার করার নির্দেশ দেন মমতা। সেজন্য আগামী ৮ -১০ ডিসেম্বর কলকাতার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনা ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেত্রী সেই সমাবেশে ভাষণ দেবেন।