কলকাতা , ১৬ নভেম্বর:- কলকাতা মহানগর ও জমজ শহর হাওড়ায় বায়ু দূষণের মাত্রা প্রায় সারা বছরই থাকে ওপরের দিকে। দীপাবলি কালীপুজোর পর বাতালের হাল ঠেকে আরও তলানিতে। অনেক দিক থেকে ব্যতিক্রমী এই বছর ব্যতিক্রম সৃষ্টি করল এদিক থেকেও দূষণের নিরিখে বিগত সব বছরের তুলনায় এ বছর দীপাবলির পর দুই শহরের বাতাসের মান ভালো বলে জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা । কলকাতা হাইকোর্ট এই বছর বাজির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করাতেই এই ্ভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন তাঁরা। শব্দবাজির ওপর বহুদিন নিষেধজ্ঞা থাকলেও ফি বছর কালীপুজোর রাতে বাজির শব্দে কানে তালা পড়ে যায় খাস কলকাতায়।
সেখানে এবছর বাজি বিক্রি ও পোড়ানো দুয়েতেই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় সেই ছবি দেখা যায়নি।তারই প্রভাব পড়ছে পরিবেশের ওপর। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে খবর, দীপাবলির রাতে প্রতি বছর দূষণের মাত্রা পৌঁছয় ৯ থেকে ১৩ গুণ বেশি। সেখানে এই বছর ছিল ২.৫। যা নিতান্তই কম। ২০১৯ সালে সেই মাত্রা ছিল অনেক বেশি। গত বছর ৭৬৮ মাইক্রোগ্রাম প্রতি মিটারকিউব ছিল দীপাবলির রাতে। আর এই বছর তা হয়েছে ১৮৫ প্রতি মিটারকিউব। এই তথ্য জানিয়েছেন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিক। এবার কলকাতা হাইকোর্ট কালীপুজো, দীপাবলি এবং ছটপুজোয় বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ করেছে। নভেম্বরজুড়ে গোটা রাজ্যে বাজি ফাটানো যাবে না। করোনা ভাইরাস আবহে বাজি ফাটানো এবং বিক্রি নিষিদ্ধের রায়কে বহাল রেখেছিল সুপ্রিম কোর্টও।
জীবনের সুরক্ষা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই মহামারী পরিস্থিতিতে। একই সঙ্গে হাওড়ার বাতাসের মানও অত্যন্ত নিরাপদ গত বছরের তুলনায়। তাছাড়া এই বছর দীপাবলি বেশ খানিকটা দেরিতে পড়েছে। রাতের দিকে ঠান্ডা বেড়েছে। সবমিলিয়ে অনেকটা নীচে রয়েছে দূষণের মাত্রা বলে জানান ওই আধিকারিক। পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন খুব সতর্ক হয়ে থাকতে হবে। বাতাসে দূষণ মাত্রা বেড়ে গেলে ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়বে। করোনা আবহে বাতাসের মান ভালো থাকাটা খুব জরুরি। দূষণ থেকে ফুসফুস সংক্রমিত হয়ে পড়ে। তা থেকে নিউমোনিয়া এমনকী করোনাভাইরাস পর্যন্ত হতে পারে। তবে বাজি নিষিদ্ধ হওয়ায় কলকাতায় শব্দ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।