এই মুহূর্তে জেলা

সোনার বাংলা গড়ার ডাক বিজেপির , বাঁকুড়ায় এসে বললেন অমিত শাহ।

বাঁকুড়া , ৫ নভেম্বর:- বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটা নাগাদ বাঁকুড়া পৌঁছে যান অমিত শাহ। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে বাঁকুড়া পৌঁছান তিনি। পৌঁছেই ৬০ এ জাতীয় সড়কে বাঁকুড়া শহর লাগোয়া পুয়াবাগানে বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। এরপর তিনি সোজা চলে যাবেন বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে। সেখানে দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক। দুপুরে রবীন্দ্রভবন থেকে চলে যাবেন প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে থাকা আদিবাসী প্রধান চতুরডিহি গ্রামে। সেখানে গিয়ে বিভিষণ হাঁসদা নামের আদিবাসী এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে দুপুরের খাবার খাবেন। পরে ফের তিনি ফিরে এসে রবীন্দ্রভবনে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের সাথে বৈঠক করবেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে সকাল থেকেই সাজো সাজো রব। বিরসা মুন্ডার মুর্তি স্থলেই হোক বা রবীন্দ্র ভবন বা চতুরডিহি গ্রাম সর্বত্রই শুরু হয়েছে নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশের তৎপরতা। সকাল থেকেই বিজেপি নেতা কর্মীদের তৎপরতায় চোখে পড়ার মতো। নেতা কর্মীরা সর্বত্রই তদারকি করছেন শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। অমিত শাহ যে রাস্তায় যাতায়াত করবেন সেই রাস্তাগুলি কার্যত মুড়ে ফেলা হয়েছে দলীয় পতাকায়। অমিত শাহ যে আদিবাসী পরিবারে দুপুরের খাবার খাবেন সেই বাড়িতে এখন চলছে সাফ সুতরো করার কাজ।

পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে আদিবাসী রীতি মেনে কলা পাতায় ভাত, ডাল, পোস্ত, চাটনি রান্না করা হবে অমিত শাহর জন্য। বছর পেরোলেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে অমিত শাহর এই সফর রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে ভালো ফল করেছিল গেরুয়া শিবির। আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ককে অক্ষত রাখতে অমিত শাহর এই সফর ও আদিবাসী গ্রামে মধ্যাহ্ন ভোজন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।