হুগলি , ২ নভেম্বর:- শনিবার হাওড়া স্টেশনে যাত্রীদের মারধরের অভিযোগ পাশাপাশি লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে রেল অবরোধ হুগলির বৈদ্যবাটি ও শেওরাফুলি স্টেশনে। সাধারণ যাত্রীদের জন্য ট্রেনের দাবিতে আবারো অবরোধে সামিল সাধারন যাত্রীরাই। সকাল ৭.৩০ থেকে অবরোধে বসে তারা। এতে মহিলা যাত্রীরাই ছিল সংখ্যায় বেশী। রেল লাইনের উপর লোহার স্লিপার , গাছের গুঁড়ি ফেলার পাশাপাশি জি,টি,রোড সংলগ্ন রেল গেটেও পাথর ফেলে অবরোধে সামিল হয় তারা। রেলের সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় বৈদ্যবাটি রেলগেট।
ফলে জিটি রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পরে। স্পেশাল ট্রেনে উঠতে দেওয়ার দাবিতে এর আগে অবরোধ বিক্ষোভ হয়েছিল হুগলি জেলার একাধিক রেল স্টেশনে। হাওড়া স্টেশনেও ট্রেনে উঠতে দেওয়ার দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখিয়েছিল যাত্রীরা। এবার সেই অশান্তির আঁচ বৈদ্যবাটি রেল স্টেশনেও দেখা গেল। একই দাবিতে শেওরাফুলি রেল স্টেশনে রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করে নিত্যযাত্রীরা। এদিন সকালে একই দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বৈদ্যবাটি রেল স্টেশন এবার সেই আঁচ এসে পড়ে শেওরাফুলি রেল স্টেশনেও। শেওরাফুলি রেল স্টেশনেও রেল লাইনে নেবে রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালো সাধারণ মানুষ।
বেলা বাড়তেই দুই স্টেশনের আঁচ এসে পড়ে রিষড়া স্টেশনেও। অবিলম্বে লোকাল ট্রেন চালানোর পাশাপাশি হওড়াতে মহিলাদের ওপর নির্বিচারে লাঠি চালানোর প্রতিবাদে রেল লাইনে বসে বিক্ষোভ দেখায় তারা। পাশাপাশি রাজ্য সরকারকে একহাত নেয়। তাদের দাবী কেন্দ্র বহুবার ট্রেন চালানোর জন্য রাজ্যকে অনুরোধ করলেও কোনও সদর্থক ভূমিকা দেখায়নি তারা। তারা নিজের পেটের তাগিতেই বাধ্য হয়ে কাজে যাবার জন্যই ট্রেনে উঠছে। যে টাকা রোজে কাজ করে তাতে বসে করে যাওয়া অসম্ভ্যব। তারা চাইছে দ্রুত ট্রেন চলাচল শুরু হোক। আজ নবান্নে বৈঠকের আগেই এই ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার।