এই মুহূর্তে কলকাতা

নিয়োগেও আপাতত দাঁড়ি টানতে চাইছে রাজ্য সরকার।

কলকাতা , ২৩ সেপ্টেম্বর:- রাজ্য সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দীর্ঘ সময় ধরেই বন্ধ। চলছে শুধুমাত্র চুক্তি ভিত্তিক অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ। এবার করোনা মহামারির দোহাই দিয়ে সেই নিয়োগেও আপাতত দাঁড়ি টানতে চাইছে রাজ্য সরকার। করোনা মোকাবিলায় এর আগেই ব্যয় সংকোচনের পথে হেঁটেছিল রাজ্য সরকার। আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত সরকারি দপ্তরে কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে। অর্থ দফতর থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে দপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত কোন সরকারি ও আধা সরকারি দপ্তরে কর্মী নিয়োগ করা যাবে না। উল্লেখ্য এর আগে রাজ্য সরকারের তরফে প্রথম দফায় গত এপ্রিলেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে ৩০ শে জুন পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিয়োগের ওপর বিধিনিষেধ জারি করার কথা বলা হয়েছিল। এবার তাপর মেয়াদ আরও বাড়ালো রাজ্য সরকার। বিভিন্ন দফতরের খরচে রাশ টানার পাশাপাশি নতুন কোনও প্রকল্প হাতে নেওয়ার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। খরচে রাশ টানার ক্ষেত্রে ১২ দফা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত আগের নির্দেশিকাই লাগু থাকবে। ফলে যে কোনও খরচের ক্ষেত্রে অর্থ দফতরের আগাম অনুমতি বাধ্যতামূলকভাবে নিতে যেমন হবে। তেমনি বেশিরভাগ খাতেই খরচ করা যাবে না ইচ্ছেমতো। সেই খরচ কমাতে বা বন্ধ করতে হবে। যদিও এই ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের চালু করা যে কোনওরকম সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে বিদেশে ভ্রমণ কিংবা দেশের মধ্যে বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণ বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু সবরকম বেতন, সাম্মানিক, পেনশন যা নিয়মিত দেওয়া হয় তাতে কোনও বাধা রাখা হযনি।যে কোনও দফতরে নতুন নিয়োগ, গাড়ি কেনা, কম্পিউটার কেনা, ভবন তৈরির মতো বিষয়ে একমাত্র অর্থ দফতরের ছাড়পত্র ছাড়া করা যাবে না বলে স্পষ্টই জানানো হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তি প্রথমে এপ্রিল মাসে লাগু করা হয়। তা জারি ছিল ৩০ জুন পর্যন্ত। তারপরে এই নির্দেশিকা বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখনও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। ফলে সেই কথা মাথায় রেখে করোনা মোকাবিলায় সরকারি খরচে রাশ টানার এই নিয়ম আগামিবছর ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হল। সরকারি কর্মীদের কোনওরকম অ্যাডভান্স, বাড়ি তৈরি কিংবা বিবাহের আর্থিক সহায়তা কোনওকিছুই দেওয়া হবে না। তবে নিজের জিপিএফের টাকা সন্তানের শিক্ষা কিংবা বিবাহের জন্য তোলা যাবে। সবস্তরের কর্মী ও আধিকারিকদের যে বিশেষ আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হত, তাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অর্থ দফতর।