এই মুহূর্তে জেলা

বেলঘড়িয়ায় পুলিশকে চাকরি ছেড়ে সবজি বিক্রির নিধান দিলীপ ঘোষের।

ব্যারাকপুর , ১২ সেপ্টেম্বর:- পশ্চিমবঙ্গে পুলিশ অফিসারেরা জল্লাদের মত কাজ করছেন। তারা দিদিমণির বন্ধু হতে পারেন,কিন্তু তারা আমাদের বন্ধু হতে পারেন না। শনিবার সকালে কামাহাটির বাদামতলায় চা পে চর্চা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সভাপতি কার্যত হুশিয়ারি দিলেন শাসকদলের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ও তার পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশ্যে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,শাসকদলের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পুলিশ সমাজের বন্ধুও হবার যোগ্য নয়। যে সমাজের কাছ থেকে তারা টাকাপয়সা, সন্মান, ইউনিফর্ম নিচ্ছেন। আর সেই সমাজের মানুষকেই তারা কষ্ট দিচ্ছেন।

দিলীপবাবুর প্রশ্ন বাংলায় বিজেপি করা কি অপরাধ ? বিজেপি করলে কর্মীদের খুন করা হচ্ছে এবং পুলিশকে ব্যবহার করে বিভিন্ন কেস দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে। এরপরই তিনি হুঙ্কারের শুরে কর্মীদের উদ্দেশে বলেন,ওই সমস্ত পুলিশ অফিসারদের নাম লিখে রাখুন। এ রাজ্যে ক্ষমতায় এসে কড়ায় গন্ডায় ওদের হিসেব বুঝিয়ে দেব। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কটাক্ষের শুরে তিনি বলেন,উনার কষ্ট তো সবে শুরু হয়েছে। তার কথায় তৃণমূল সরকারের নীতি হচ্ছে রাজ্যে বিরোধীদের প্রানে মেরে ফেলা এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রুজু করা। যেটা এই সরকার পুলিশকে ব্যবহার করে করছে।

তারা পুলিশকে চাকরের মত ব্যবহার করেছেন। এমনকি পুলিশকে দিয়ে তোলাবাজিও করানো হচ্ছে বলে তিনি এই অনুষ্ঠানে বিতর্কিত মন্তব্য করতেও পিছপা হয়নি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি এদিন তীব্র কটাক্ষ করতেও ছাড়েন নি রাজ্যের শাসকদল ও তাদের প্রশাসনকে। তার সাফ বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এখন তৃণমূলের পুলিশে পরিনত হয়েছে। এখানকার পুলিশকে দেখে দুঃখ হয়। পাশাপাশি লজ্জাও হয়। কামাহাটি অঞ্চলে সিপিএম ও তৃণমূল থেকে আসা প্রায় ৫০০ জন কর্মী-সমর্থক এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন স্বয়ং দিলীপ ঘোষ। বিশিষ্টদের মধ্যে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি রাজু বন্দোপাধ্যায়, কোলকাতা উত্তর শহরতলির জেলা সভাপতি কিশোর কর, জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্ডিচরন রায় ছাড়াও অন্যান্য নেতৃত্বরা।