এই মুহূর্তে জেলা

তেলের ট্যাঙ্কারের কেবিন থেকে চালকের মৃতদেহ উদ্ধার।

হাওড়া , ১১ সেপ্টেম্বর:- খালাসি ও হেল্পারের হাতে খুন পেট্রল ট্যাংকারের চালক। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী ( ৩৮)। খুন করে ওই গাড়ির ভিতরে দেহ ফেলে রেখেই চম্পট দেয় তিনজন। এমনই অভিযোগ মৃতের পরিবারের। পরিবারের সদস্যরা জানান, বিশ্বজিৎ ৩০ হাজার নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। সেই টাকার জন্যই পিটিয়ে খুন করা হয়। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তেলের ট্যাঙ্কারের চালকের কেবিনের ভিতর থেকে বিশ্বজিতের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। চাঞ্চল্য ছড়ায় আন্দুল রোডের পাঁচপাড়া এলাকায়। মৃত বিশ্বজিৎ এর বাড়ি চুনাভাটি লেবুখালি মাঠে। জানা গেছে, শুক্রবার সকালে পাঁচপাড়া এলাকায় রাস্তার ধারে একটি তেলের ট্যাংকার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গাড়িটি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় তাদের সন্দেহ হওয়ায় তারা চালকের কেবিনে উকি মারলে দেখতে পান ভিতরে এক ব্যক্তি মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন।

পরে পুলিশে খবর দিলে সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত নাজিরগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পাঠায়। সূত্রের খবর, মৃত ব্যক্তি ওই তেলের ট্যাঙ্কারের চালক। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বজিৎ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ফিরছিলেন। গাড়িতে তার সঙ্গে আরো তিনজন ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ খুব সম্ভবত গাড়িতে থাকা ওই তিনজন টাকা ছিনতাই করে নিয়ে বিশ্বজিৎকে খুন করে পালিয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তেলের ট্যাঙ্কারের সহকারি চালক ও দুই খালাসী কে গ্রেফতার করেছে। ধৃতেরা হল রাজু শর্মা অঙ্কিত শর্মা এবং রাজেশ চক্রবর্তী। ধৃতদের শনিবার হাওড়া আদালতে তোলা হবে। পুলিশ সূত্রে খবর মৃত ব্যক্তির একাধিক আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে খুন করে অন্য কিছু সেই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। যদিও গাড়ির থাকা খালাসী ও সহকারি চালকের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়েছিল কিনা সেটিও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পুলিশ একটি খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।