নবান্ন , ৮ সেপ্টেম্বর:- আগামী মাসে রাজ্যে দুর্গাপূজা উৎসব পালন করা নিয়ে ধর্মীয় মেরুকরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি অভিযোগ করেছেন। আজ নবান্নে পুলিশ দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি বিজেপির নাম না করে অভিযোগ করেন পরিকল্পনা করেই বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যমে পুজো করতে দেওয়া হবে না বলে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু এর কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার এখনো দুর্গাপুজো নিয়ে কোনো বৈঠক করেনি বলে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব নিয়ে যারা এই অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের সামনে আসার চ্যালেঞ্জ জানান মুখ্যমন্ত্রী। কোন ধর্মীয় উৎসব নিয়ে রাজ্য সরকার পক্ষপাতিত্ব করে না বলেও মুখ্যমন্ত্রী এদিন স্পষ্ট জানিয়েছেন। এই নিয়ে বিরোধীদের কাছেও রাজনীতি না করার আর্জি জানান তিনি। এবার দুর্গাপুজোয় সারারাত ঘুরে প্রতিমা দর্শন বন্ধ! ‘পঞ্চমী থেকে একাদশী, বিকেল পাঁচটার পর থেকে নাইট কার্ফু’। করোনা পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজো নিয়ে রাজ্য সরকারের ‘নির্দেশিকা’ বলে দাবি করে গত কয়েকদিন ধরে হোয়্যাটসঅ্যাপে এমন মেসেজ চালাচালি হচ্ছিল। যা একদম ভুয়ো বলে জানিয়ে দিল রাজ্য পুলিশ। মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, দুর্গাপুজো নিয়ে এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
তাই এই নির্দেশিকা গুজব ছাড়া আর কিছু নয়। মঙ্গলবার নবান্নে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, সবকটাকে ধরে ১০০ বার কান ধরে ওঠবোস করাতে হবে। ভুয়ো খবর ছড়ানোর সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ওরা যদি প্রমাণ করে এমন কোনও নির্দেশ সরকার দিয়েছিল তাহলে আমি কান ধরে ওঠবোস করব, মন্তব্য ক্ষুব্ধ মমতার। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের ফেসবুক ও ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই নির্দেশিকার একটি ছবি পোস্ট করা হয়। তার ওপর বড় অক্ষরে লাল কালিতে লেখা রয়েছে ‘ফেক’। ছবির সঙ্গে পুলিশের তরফে লেখা হয়েছে, ‘দুর্গাপুজো নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে এই গুজবটি ছড়াচ্ছে। এ রকম কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। দয়া করে মেসেজটি ফরোয়ার্ড করবেন না। এটি মিথ্যা।’