এই মুহূর্তে কলকাতা

সংসদে প্রতিবাদ করে নিজেদের রাজ্য বিধানসভায় বাতিল প্রশ্নোত্তর, তৃণমূলের ‘দ্বিচারিতা’ নিয়ে সরব বিরোধী শিবির

কলকাতা , ৫ সেপ্টেম্বর:- সংসদের বাদল অধিবেনে বাতিল হয়েছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। যার জেরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিরোধী কণ্ঠরোধের অভিয়োগে সরব হয়েছে তৃণমূল। অথচ তৃণমূল শাসিত এরাজ্যের বিধানসভার আসন্ন অধিবেশনেও বাদই তাকছে প্রশ্নোত্তর পর্ব। জিরো আওয়ারও বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে কটাক্ষ ফিরিয়ে দিয়েছে বিরোধীরা । তাদের অভিযোগ, এটা আসলে তৃণমূলের দ্বিচারিতা!যদিও মাত্র দুদিনের নিয়ম রক্ষার বিওধানসভা অধিবেশনের সঙ্গে সংসদের বাদল অধিবেশনের তুলনায় যেতে নারাজ সরকার পক্ষ। কিন্তু বিরোধীরা নিজেদের অভিযোগ থেকে সরছেন না। বাম-কংগ্রেসের দাবি, মাত্র দুদিনে মানুষের সমস্যার কথা নিয়ে আলোচনা করা যাবে না। তাই অন্তত সাতদিনের অধিবেশন করা হোক এনিয়ে বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, তৃণমূল দু’দিনের বিধানসভা অধিবেশনে মানুষের প্রশ্ন শুনতে চায় না। সেই কারণে বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখা হয়নি । জয়প্রকাশবাবু বলেন, যে বঙ্গে শুধু নিয়ম রক্ষার্থে অধিবেশন ডাকা হচ্ছে, যেহেতু নিয়ম আছে, প্রতি ছয় মাসে অধিবেশন বসাতে হবে।

এই মুহূর্তে জ্বলন্ত বিষয় যেমন, আমফান ত্রাণে দুর্নীতি, করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতা, সেই নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও আলোচনা চায় না বলেই অভিযোগ বিজেপি নেতার৷ তাঁর মতে এটি তৃণমূলের দ্বিচারিতার উদাহরণ ৷চাই। এছাড়া প্রশ্নোত্তর পর্ব ও জিরো আওয়ারকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করে ৯ ও ১০ সেপ্টেোম্বর শুধু বাদ অধিবেশন চলবে বলে জানিয়ে দেওয়া হল। বাম ও কংগ্রেসের পক্ষে দাবি জানানো হয়, ছ-মাস পরে অধিবেশন বসছে, অথচ মানুষের সমস্যার কথা কিছুই আলাপ-আলোচনা হবে না। এই পরিস্থিতিতে মানুষ খুবই কষ্টে আছেন, তাঁদের কথা আলোচনা করা জরুরি ছিল। তাঁদের সমস্যার কথা তুলে না ধরলে, কী করে সমাধান হবে ? মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং এই বিষয়গুলি চিন্তা করে কোনও পদক্ষেপ করবেন বলে আশাবাদী বিরোধীরা। সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, আনুষ্ঠানিকভাবে অধ্যক্ষ জানাননি প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকবে না।

তবে তাদের কাছেও এই খবর সূত্রের মাধ্যমে এসেছে বলে তিনি জানান৷ সুজনবাবু বলেন, ৮ তারিখ সর্বদলীয় বৈঠক করবেন অধ্যক্ষ৷ এদিকে বিতর্কের মুখে অবশ্য কোভিডের কথাই তুলে ধরছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, মহামারীর জেরে খুব বেশি দিনের অধিবেশন করা সম্ভব না ৷ সেই কারণে এবার আর প্রশ্ন-উত্তরের পালা রাখা গেল না৷অধ্যক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভায় প্রবেশ করার আগে সবার অ্যান্টিজেন্ট টেস্ট করতে হবে। করোনা নেগেটিভ হলেই প্রবেশের অনুমতি মিলবে। বিধায়কদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে ও নিজেদের নির্দিষ্টি স্থানে বসতে হবে। বয়স্করা প্রধান হলে ও নবীনরা গ্যালারিতে বসবেন বলে তিনি জানান। গাড়ি মূল চত্বরে আনা যাবে না ৷ এবার কোনও অতিথি আসতে পারবেন না অধিবেশন দেখতে৷ জানিয়ে দিয়েছেন অধ্যক্ষ৷ তবে, দু’দিনের অধিবেশনে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব থাকবে কি না, তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট জবাব দেননি তিনি।