হাওড়া , ২৪ জুলাই:- বৃহস্পতিবার তৃণমূলের রাজ্য ও জেলা স্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে দলবদলের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সাংগঠনিক ব্যাপক রদবদল করে তৃণমূল নেতৃত্ব। হাওড়া শহরের তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে অরূপ রায়কে সরিয়ে সভাপতি হিসেবে তরুণ প্রজন্মের নতুন মুখ হিসেবে তুলে আনা হয় লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে। অরূপ রায়কে হাওড়া শহর জেলা চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন তৈরি হয়। সোস্যাল মিডিয়াতেও মন্তব্য আসতে থাকে। শুক্রবার সকালে সাংবাদিকরা এনিয়ে অরূপ রায়ের মুখোমুখি হন। সাংবাদিকেরা বলেন দলের এই সিদ্ধান্তকে কিভাবে দেখছেন? নতুন সভাপতি কিভাবে এই চ্যালেঞ্জ নিতে পারবেন? কিভাবে তাঁকে আপনি গাইড করবেন ?
এই প্রশ্নের উত্তরে অরূপবাবু জানান, “আমি তৃণমূলের প্রথম দিনের কর্মী। ১৯৮৯ সাল থেকে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে আছি। ছাত্র রাজনীতি দিয়ে আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু। দলের এই সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিয়েছি। দল যেরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই অনুযায়ী কাজ করবো।” সাংবাদিকেরা বলেন, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোট। যেটা তৃণমূলের কাছে একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ। নতুন সভাপতি কিভাবে এই চ্যালেঞ্জ নিতে পারবে ? এ সম্পর্কে মন্ত্রী অরূপ রায় জানান,”আমরা সকলে মিলেমিশে কাজ করব। আমাকে দল মাথার উপর রেখেছে। আমাকে চেয়ারম্যান করেছে। দলের সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে দলনেত্রী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলে যতদিন থাকব দলের হয়ে কাজ করব।” সাংবাদিকেরা বলেন, তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না। এই নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা হচ্ছে। অনেকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আবেদন করছেন।
এই সম্পর্কে অরূপবাবু জানান, “কর্মী সমর্থকরা হঠাৎ এই খবর পেয়ে এরকম করছেন।আমি সবাইকে সংযত থাকতে বলব। একসঙ্গে কাজ করতে বলব। আর একই লোকতো চিরকাল সভাপতি পদে থাকতে পারে না। সভাপতি পদ পরিবর্তন হয়।আমি ১৯৯৮ সাল থেকে সভাপতি ছিলাম। মাঝে সভাপতি পদে ছিলাম না। দলনেত্রী যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা মাথা পেতে নেব । আর আমি দলের কথা বাইরে বলি না।এটা আমার শিক্ষা নয়, আমার কালচার নয়। সেই ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করছি। এটা আমার শিক্ষার মধ্যে পড়ে না। দলের এই সিদ্ধান্ত মেনে চলব। দলের বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতি হলে আমি রুখে দাঁড়াবো।দুর্নীতির সঙ্গে কোনও দিনও আপোস করিনি আর করবো না। দলে দুর্নীতি থাকলে আমার ক্ষমতা অনুযায়ী দলকে জানাব।”