এই মুহূর্তে খেলাধুলা

টেস্ট জিতে সিরিজে সমতায় ফিরল ইংরেজরা।


স্পোর্টস ডেস্ক , ২১ জুলাই:- ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ক্যারিবিয়ানদের হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল ইংরেজরা। ম্যাচের শেষ দিনে ১১৩ রানে টেস্ট জিতে নিল ইংল্যান্ড। ব্যাটে-বলে অবিশ্বাস্য খেলা উপহার দিল জো রুট অ্যান্ড কোম্পানি। প্রথম ইনিংসে বেন স্টোক ও সিবলের ব্যাটে ভর করে ৪৩৯ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ফলোআন বাঁচালেও, মাত্র ২৮৭ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে আর বেশি সময় উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকে নি ইংরেজরা। মাত্র ১৯ ওভার ব্যাট করে ঝড়ো ইনিংস খেলে ১২৯ রান করেই ডিক্লেয়ার করে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে বড় রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে, ১৯৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় হোল্ডারের দল। দুই ইনিংসেই দুরন্ত ব্যাটিং করে ম্যাচের সেরা হন বেন স্টোক। উল্লেখ্য ১৮২ রানে এগিয়ে থেকে চতুর্থদিন দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রানে শেষ করেছিল ইংল্যান্ড। হাতে মাত্র একটাদিন থাকায় কাজটা কঠিন থাকলেও অসম্ভব ছিল না।আর পঞ্চমদিন সেই সম্ভাবনাকেই বাস্তব রূপ দিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১১৩ রানে হারিয়ে সিরিজে দুরন্ত প্রত্যাঘাত ছুঁড়ে দিল ব্রিটিশবাহিনী। পিছিয়ে পড়েও সিরিজে সমতা ফেরাল ইংল্যান্ড। অন্তিমদিন রুটদের স্ট্র্যাটেজির উপর অনেকটাই নির্ভর করছিল ম্যাচের ভাগ্য। তবে চতুর্থদিন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে স্টোকসকে ওপেনে নামতে দেখে এটুকু পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে জয়ের জন্য পুরোপুরি ঝাঁপাবে তাঁরা। পঞ্চমদিন মর্নিং সেশনের শুরুতে টি২০-র গতিতে রান তুলতে শুরু করেন বেন স্টোকস। মাত্র ৩৬ বলে এদিন টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের হয়ে দ্রুততম অর্ধশতরান করেন ইংরেজ সহ-অধিনায়ক।

লিড ৩০০’র গন্ডি পেরিয়ে যাওয়ার পর খুব বেশি সময় অপেক্ষা করেননি রুট। সাজঘরে ডেকে নেন তাঁর দুই অপরাজিত ব্যাটসমানকে। সবমিলিয়ে ৩ উইকেটে ১২৯ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে ইংল্যান্ড। ৫৭ বলে মারকাটারি ৭৮ রান করে অপরাজিত থাকেন প্রথম ইনিংসের শতরানকারী। ওলি পোপ অপরাজিত থাকেন ১২ রানে। ২২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রুট। ম্যাচ জয়ের জন্য ৮৫ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩১২ রান। পক্ষান্তরে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১০ উইকেট।উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা ম্যাচ বাঁচানোর লক্ষ্যে থাকলেও ইংরেজ বোলাররা ছিলেন লক্ষ্যে স্থির। প্রথম ওভারেই ব্রডের ইনসুইং ক্যাম্পবেলের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বাটলারের দস্তানায় জমা পড়ে। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন ব্রাথওয়েট, হোপ, চেজ। ৩৭ রানের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেট খোয়ানোর পরেই ম্যাচ ইংল্যান্ডের দিকে ঢলে পড়ে। তবু পঞ্চম উইকেটে ব্রুকস-ব্ল্যাকউডের ১০০ রানের পার্টনারশিপে কিছুটা আশা দেখেছিল ক্যারিবিয়ানরা। কিন্তু ৫৫ রানে ব্ল্যাকউড ফেরার পর আর লম্বা কোনও পার্টনারশিপ তৈরি হয়নি উইন্ডিজের। এরপর শূন্য রানে ফেরেন ডাউরিচ। ব্যক্তগত ৬২ রানে ফেরেন ব্রুকস। ৩৫ রান করে কিছুটা পতন রোধের চেষ্টা করেছিলেন হোল্ডার। তবে বাকি টেল-এন্ডারদের ব্যর্থতায় ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব হয়নি ক্যারিবিয়ানদের। ব্রড, ওকস, স্টোকসদের সম্মিলিত প্রয়াসে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৯৮ রানেই গুটিয়ে যায় তাঁরা। ৩টি উইকেট নেন ব্রড। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন ওকস, বেস এবং স্টোকস। একটি উইকেট পেয়েছেন স্যাম কারেন।