এই মুহূর্তে জেলা

ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ায় বাড়িঘড় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার।

হুগলি,১৯ মে:- কয়েক দিনের বিক্ষিপ্ত গোলমাল ও অশান্তির জেরে ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ায় বাড়িঘড় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার।অশান্তির পরেই বাসিন্দাদের ক্ষয়ক্ষতির কথা চিন্তা করে জেলা প্রশাসনকে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করে পাঠানোর নির্দেশ দেয় নবান্ন। এরপরেই জেলা প্রশাসন পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া,বাবুবাজার,সেগুনবাগান ,তাঁতীপাড়া ও চন্দননগর পুরনিগম ঘেঁষা এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত তালিকা তৈরি করে।বাসিন্দারা প্রশাসনের লোকজনের কাছে অভিযোগ করেন,দফায় দফায় বোমাবাজি, মারপিট ও সংঘর্ষের ঘটনায় বাসিন্দাদের ঘর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।বাড়ির ভিতরে ঢুকে দুষ্কৃতীরা দরজা জানালা ও উপরের টালির ছাদ,ঘরের আসবাপত্র,সাইকেল ভেঙে তছনছ করেছে।বেশ কিছু বাড়িতে ঢুকে পরিবারের লোকজন কে মারধর করে বাড়ি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা।অশান্তির সময়ে কোন প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় বাসিন্দারা আতঙ্কে সিটিয়ে আছেন বলেও পুলিশ প্রসাসনের কর্তা বযাক্তিদের কাছে অভিযগ করেন।তারপর থেকে কণ অসান্তির ঘটনা ঘটেনি।সোমবার ফের জেলা প্রশাসন ও চন্দননগর কমিশনারে্টের পুলিশ কর্মীরা তেলেনিপাড়ায় গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার পরে তাদের রাজ্য সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে স্থানীয়দের মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি জেলা প্রশাসনের।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                               এদিন বেশ কিছু দোকান খোলা থাকলেও লক ডাউন ও প্রচন্ড গরমের কারণে স্থানীয়দের রাস্তা ঘাটে সেভাবে দেখা মেলেনি।তবে তেলেনিপাড়া ও সংলগ্ন এলাকায় যাতে আইনন শৃঙ্খলার কোন রকম অবনতি না হয় তারজন্য ড্রোণ ক্যামেরা উড়িয়ে নজর রাখছে পুলিশ প্রশাসন।এবিষয়ে হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, প্রাথমিক ভাবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জেলা প্রশাসনের কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করেছেন।প্রাথমিক ভাবে ২০০ পরিবারের জন্য রাজ্য সরকার ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ বরাদ্দ করেছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে অশান্তির মেঘ কাটিয়ে ভদ্রেশ্বর তেলেনিপাড়ার অবস্থা স্বাসভাবিক হতেই এক দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসনের কর্মীরা এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের সঙ্গে দেখা করেন তাদের নামের তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতির বিবরন লিপিবদ্ধ করেন।সেই তালিকা রবিবার জেলা প্রশাসন নবান্নে পাঠিয়ে দেয়।এরপরেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগী হয়ে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ক্ষতিপূরণের অর্থ বরাদ্দ করে এ দিন জেলাপ্রশাসন কে ক্ষতিপূরণ পাঠিয়ে দেন।জেলা প্রশাসন অর্থ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভদ্রেশ্বর পুরসভা কে পাঠিয়ে দেয়।প্রশা্সন জানিয়েছে ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা বাড়ি ঘর মেরামত করতে পারবেন।বাড়ি ঘর ছাড়া যাদের অন্যান্য জিনিষ নষ্ট হয়েছে তারাও ক্ষতিপূরণ পাবেন।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                          তবে ক্ষতিপূরণের অর্থ চেকের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের তুলে দেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেবে একথা জানার পরেই আশায় বুক বেঁধেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তেলেনিপাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, যে ভাবে আমাদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে তাতে আমরা বাড়ির বাইরে দিন কাটাচ্ছি।লক ডাউনে কাজ কর্ম বন্ধ থাকায় হাতে কোন অর্থ নেই।বাড়ি ঘর মেরামত কী ভাবে করব সেই নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছিল।কিন্তু রাজযের মুখ্যমন্ত্রী আমাদের মতো অসহায় মানুষের কথা ভেবেছেন এটাই আমাদের কাছে অনেক।এ দিন ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ায় গিয়ে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব।তিনি বলেন, বিজেপির মতো বিরোধীরা শুধু মুখে ভাষন দেয়।আমাদের নেত্রী কাজে করে দেখান। তবে এত অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিন্নধান্ত জেলার ক্ষেত্রে নতুন নয়।মাস কয়েক আগে নৈহাটিতে বাজি ফাতার ঘটনায় চুঁচুড়ার গঙ্গা তীরের বাসিন্দাদের বাড়ি ঘরের ক্ষতি হওয়ার কয়েক দিনের মধযেই ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেয় রাজ্য সরকার।

There is no slider selected or the slider was deleted.