হুগলি,১১ মে:- করোনা সংক্রমণ রোধে জেলার ১৩ পুরসভায় টাস্ক ফোর্স গঠন করল জেলা প্রশাসন।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে জেলার পুরসভা গুলিতে যে সমস্ত ওয়ার্ডে করোনা ছড়িয়েছে তার সঙ্গে অন্যন্য ওয়ার্ড গুলিতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে সেই গুলির তালিকা তৈরি করেছে জেলা প্রসাসন। পুরসভা গুলির সঙ্গে শ্রীরামপুর উত্তরপাড়া ব্লকের শ্রীরামপুর ও রিষড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছুটা এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। সংক্রমিত ও সংক্রমণের আশঙ্কা দুই ধরণের ওয়ার্ডেই কাজ করবে জেলা প্রশাসন গঠিত টাস্ক ফোর্স।প্রতিটা পুরসভার জন্য আলাদা আলাদা টাস্ক ফোর্স থাকবে।সাত জন প্রতিনিধি কে নিয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে। শ্রীরামপুর পুরসভার ৫টি ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। বাকি ৮টি ওয়ার্ডে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। এরসঙ্গে শ্রীরামপুর উত্তরপাড়া ব্লকের রিষড়া গ্রাম পঞ্চায়েত কে আওতাভুক্ত করা হয়েছে। রিষড়া পুরসভার দু’টি ওয়ার্ডে করোনা সংক্রমণের হদিস মিলেছে।চন্দননগর পুরনিগমের দুটি ওয়ার্ডে করোনা থাবা বসিয়েছে।বাকি এগারোটি ওয়ার্ডে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকছে।চাঁপদানী পুরসভার দুটি ওয়ার্ডে করোনার সন্দান মিলেছে বাকি পাঁচটি ওয়ার্ডে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। উত্তরপাড়া পুরসভা এলাকায় করোনা সংরমণের হদিস না মিলিলেও তিনটি ওয়ার্ডে নজর রাখবে টাস্ক ফোর্স।সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড গুলিতে কী ভাবে টাস্ক ফোর্স কাজ করবে তারজন্য ১২ দফা নির্দেশিকা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।নির্দেশের প্রথম ছত্রেই উল্লেখ করা হয়েছে যদি স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনা সংক্রমিত ব্যাক্তির সন্ধান পাওয়া যায় তাহলে তার পরিবারের ও ওই ব্যাক্তির সংস্পর্ষে থাকা প্রত্যেকের সোয়াব পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করবে টাস্ক ফোর্স।
পুরসভার ফিভার ক্লিনিক গুলির মাধ্যমে যদি কোন ব্যাক্তির জ্বর,সর্দি ও ফ্লুয়ের মতো কোন উপসর্গ পাওয়া যায় সেগুলি নথিভূক্ত করে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর কে জানাবে টাস্ক ফোর্স।নির্দেশিকায় বলা হয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা,ওষুধ ও চিকিৎসাজনিত সরঞ্জাম সরবরাহে যাতে কোন সমস্যা না হয় সেগুলি ও দেখবে টাস্ক ফোর্স।হোম কোয়ারান্টিনে কতগুলি পরিবারের কত জন সদস্য থাকছে তার হিসেব রাখবে টাস্ক ফোর্স।কোয়ান্টিনে থাকার সময়ে সেখানে কেউ অসুস্থ হলে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা ও করতে হবে টাস্ক ফোর্স কে।বিভিন্ন এলাকায় লক ডাউন যাতে মানা হয় সেদিকে ও নজরদারি চালাবে টাস্ক ফোর্স।স্টিক্ট কন্টেনমেন্ট জোনে যাতে অত্যবশকীয় পণ্য ও জরুরী পরিষেবা যাতে কোন ভাবেই বিঘ্নিত না হয় সেগুলিও দেখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।এ ছাড়া যে সমস্ত ওয়ার্ডে করোনা ছড়িয়েছে তার সঙ্গে অন্যন্য ওয়ার্ড গুলিতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে সেই এলাকায় বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্য কর্মীরা পরিবার গুলির যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন তার প্রতিদিনের রিপোর্ট জেলা প্রশাসন কে জানাবে টাস্ক ফোর্স।নির্দেশিকার শেষের দিকে বলা হয়েছে প্রতিদিন মহকুমা শাসক,বিডিও, পুরপ্রশাসন ও পঞ্চায়েত গুলিকে রিভিউ মিটিং করে জেলা প্রশাসন কে রিপোর্ট জমা দেবে।কোথাও যেন ম্যান পাওয়ারের না কমে সেগুলির উপরে জোর দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে চন্দননগর পুরনিগমে দুটো ওয়ার্ডে করোনা সংক্রমণ মাথাচারা দিতেই কড়া প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসসন। গঙ্গা তীর লাগায়ো দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সতর্কতা নিয়ে শুক্রবার রাতেই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে জেলা প্রশাসন।সেখানে কমিশনারেটের পুলিশের শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় করোনা মোকাবিলায় চন্দননগরে ‘বিশেষ টিম ‘নামানো হবে।শনিবার কোরনা মোকাবিলায় বিশেষ টিম কাজ শুরু করেছে।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে দুটি ওয়ার্ড ও তার আশেপাশের এলাকায় প্রায় একশো সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম থেকে সেগুলি মনিটরিং করা হবে। সেই সঙ্গে সংক্রমিত দুই ওয়ার্ডে দুটি হিলিয়াম বেলুন উড়ানো হবে।এ দিন নতুন করে বেশ কয়েকটি পরিবার কোভিড ১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ ঠেকাতে প্রত্যেক পরিবার কে কোয়ারান্টিনে রেখে সোয়াব পরীক্ষায় কথা ভাবছে জেলাপ্রশাসন। করোনা মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গুলি পুরসভা ও পঞ্চায়েতে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। তিনি বলেন, চন্দননগরে কোভিড ১৯ মোকাবিলায় বিশেষ দল নামানো হয়েছে।Related Articles
রোজ চাই মাটন-ইলিশ, না হলেই র্যাগিং; সদলবলে স্ত্রীর আক্রমনে ছাদ থেকে ঝাঁপ স্বামীর।
সুদীপ দাস, ১৩ অক্টোবর:- সাদামাটা পুরোহিত মশাইয়ের মাসিক ইনকাম মেরেকেটে ৩থেকে ৪হাজার টাকা। এই ইনকামেই গত বছর নভেম্বরে দেখেশুনে বিয়েটা করেছিলেন তিনি। প্রথম কয়েকদিন ঠিকঠাক চললেও তারপর থেকেই স্বমহিমায় স্ত্রী। ডাল-ভাত মুখে রোচে না তাঁর। শুরু ইলিশের চাহিদা। তারপর মাটন। যা ক্রমশ নিত্যদিনের ব্যপার হয়ে ওঠে। স্ত্রীর চাহিদা মেটাতে না পেরে সংসারে শুরু অশান্তি। কিন্তু […]
রাজ্যের লিজে নেওয়া খাস জমি ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রসেসিং ফ্রি বাধ্যতামূলক।
কলকাতা, ২ মে:- রাজ্যের লিজে দেওয়া খাস জমি ব্যাঙ্কে বন্ধক রেখে ঋণ পাওয়ার জন্য সরকারের অনুমতি নিতে গেলে এবার থেকে ‘প্রসেসিং ফি’ দিতে হবে। মঙ্গলবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে। এর ফলে রাজ্য সরকারের আয় বাড়বে। বৈঠকে স্থির হয়েছে, শুধু বন্ধক দেওয়ার ক্ষেত্রেই নয়, লিজে নেওয়া জমি হস্তান্তর করতে গেলেও রাজ্যের অনুমতি […]
ঘূর্নিঝড় দানা আসার আগেই সতর্কতা, ফসল বাঁচাতে প্রচার, নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাবার অনুরোধ।
হুগলি, ২২ অক্টোবর:- ডানা ঘূর্নিঝড়ের প্রভাবে দূর্যোগ হবে হুগলিতেও। ঝোরো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে জেলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি দফতর কৃষকদের জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে ধানের ৮০ শতাংশ দানা পেকে গেলে ফসল দ্রুত কেটে নিতে। কাটা ধান জমিতে ফেলে না রেখে দ্রুত খামারে তুলে […]









