সুদীপ দাস,১৫ এপ্রিল:- শ্রীরামপুর মল্লিকপাড়া,তারাপুকুর,নবগ্রাম,পটুয়াপাড়া,চাতরা রয়েছে একের পর এক শাড়ী ছাপাখানা। এই কারখানা গুলিতে বড় বড় কোম্পানীর শাড়ী ছাপাইয়ের কাজ করেন ছাপা কারখানার শ্রমিকেরা । কিন্তু কারখানা বন্ধের কারণে কাজ হারিয়েছেন কয়েকশ শ্রমিক।এই শাড়ি ছাপাখানা গুলিতে জেলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী জেলা থেকে অনেক কর্মী কাজে আসতেন। কিন্তু আচমকা লক ডাউনে অনেকেই বাড়ি ফিরতে পারেন নি। থেকে গিয়েছেন কারখাতেই।কিন্তু লক ডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি পেলে পরিস্থিতি জটিল হবে বলে মনে করছেন শাড়ী ছাপাখানার মালিক থেকে শ্রমিক উভয়েই। শাড়ী ছাপাখানার মালিকেরা জানিয়েছেন পয়লা বৈশাখ থেকে মূলত ছাপা খানায় কাজের জোয়ার আসে।বর্ষা কালে কাজ একটু কম হলেও চৈত্র বৈশাখ মাস ও দুর্গা পুজোর সময়ে কাজের বাজার ভালো থাকায় শ্রমিকদের আয় উপার্জনে ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়।কলকাতার বড় বড় নামী দামি শাড়ি বিপননী প্রতিষ্ঠানের শাড়ি তারা ছাপানোর কাজ করেন ।কোম্পানীর লোকেরাই শাড়ির ডিজাইন ঠিক করে দেয়।
প্রতি বারের মতো এবারেও শাড়ি ছাপাখানা গুলিতে কাজের বরাত ভালো ছিল। কিন্তু লক ডাউনে কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।শাড়ি কোম্পানী গুলিতে ছাপাখানা মালিকদের টাকা আটকে গিয়েছে।এ দিকে কারখানা বন্ধ হলেও যে সমস্ত শ্রমিকেরা বারো মাস কাজ করেন তাদের খোরাকি দিতে হচ্ছে।এই অবস্থায় লক ডাউন যদি উঠেও যায় তার রেশ থাকবে গোটা বছর। অনেক ছাপাখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।শ্রীরামপুর নবগ্রাম মরাদানের ছাপাখানা কর্মী তপন ভৌমিক বলেন,আমার বাড়ি গুড়াপের ভাস্তারা গ্রামে। লক ডাউনে বাড়ি ফিরতে পাড়িনি ২০ দিনের বেশি হয়ে গেল কারখানেই রয়েছি।আমার সঙ্গে বীরভূমের দুজন শ্রমিক রয়েছে।মালিকের অনুগ্রহে চাল ডাল ফুটিয়ে কোন রকমে খাচ্ছি।কাজ বন্ধ থাকায় গ্রামের বাড়িতে টাকা পাঠাতে পাড়ছি না।অর্ধাহারে পরিবারের দিন কাটছে।জানিনা কোথায় গিয়ে এর শেষ হবে।ছাপাখানার মালিক রাজীব চক্রবর্তী বলেন, এমনিতেই লক ডাউনে ছাপাখানার ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে।যে ভাবে কোভিড ১৯ মহামারীর আকার নিয়েছে এর শেষ কোথায় কেউ জানেনা।আগে মানুষ খেয়ে প্রানে বাঁচবে।তারপর শাড়ি পড়বে।তবে লক ডাউন দীর্হ মেয়াদী হলে ছাপাখানা বন্ধ করে দিতে হবে। তবে বরাবরই শ্রীরামপুর শাড়ী ছাপাখানার জন্য বিখ্যাত।শহরে শাড়ী ছাপাখানা শিল্পের ঐতিহ্য ও জনপ্রিয়তা কে গুরুত্ব দিয়ে রাজ্য সরকার জেলায় সিল্ক প্রিন্টিং হাব তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে সিল্ক হাবের জন্য জমিও চিহ্নিত হয়েছে।যদিও সিল্ক হাবের কাজ এখনো শুরু হয়নি।Related Articles
বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমে আবশ্যিক ভাবে কভিড শয্যা বৃদ্ধির জন্য চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন।
কলকাতা , ১৮ এপ্রিল:- রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ উদ্বেগজনক ভাবে বাড়তে থাকায় রাজ্য সরকার সব বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমে আবশ্যিক ভাবে কভিড শয্যা বৃদ্ধির জন্য চার সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দপ্তরের সচিব সঞ্জয় বনসলের নেতৃত্বে এই টাস্ক ফোর্সের অন্য সদস্যরা হলেন ডক্টর হরেকৃষ্ণ চন্দ্র, ড সোমা শীল এবং ড:অর্ণব রায়। শয্যা […]
যেদিন নিজেকে পৌরপ্রধান ভাববো সেইদিন মানুষের সঙ্গে দুরত্ব বেড়ে যাবে, আমি রিষড়ার পরিবারের সদস্য- বিজয় সাগর মিশ্র।
হুগলী,৯ জানুয়ারি:- আমি পৌরপ্রধান নই, যেদিন আমি নিজেকে পৌরপ্রধান মনে করবো সেদিন আমার মানুষের সঙ্গে দুরত্ব বেড়ে যাবে। আমি মনে করি রিষড়া একটা পরিবার, আমি একটা পরিবারের সদস্য। ৩০ তম রিষড়া মেলার পঞ্চম দিনে একথা জানান রিষড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান বিজয় সাগর মিশ্র। তিনি বলেন মেলার সময় যত কমে আসছে ততই জনসমুদ্রে পরিণত হচ্ছে মেলা। এই […]
চায়ের গুমটির মধ্যেই পড়ে দোকানির দেহ। চাঞ্চল্য হাওড়ার ব্যাঁটরায়।
হাওড়া , ৮ জানুয়ারি:- এক চায়ের দোকানির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে হাওড়ার ব্যাঁটরায়। শুক্রবার সকালে গুমটি দোকানের ভিতর মৃত অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ব্যাঁটরা থানার পুলিশ। মৃতের নাম রাম জাটি(৫০)। আগে তিনি থাকতেন স্থানীয় বিষ্টুকুন্ডু বাগান এলাকায়। তবে এখন তিনি দোকানের মধ্যেই রাতে শুতেন। স্থানীয়েরা জানান, বৃহস্পতিবার […]