হুগলি,১২ এপ্রিল:- আবারও নির্বিচারে নিরীহ যুবককে বেধড়ক মারধোরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। লাঠির আঘাতে থেতলে দেওয়া হলো পায়ের দুই হাটু। সারা গায়ে অসংখ ক্ষত, উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। আপাতত শয্যাশায়ী ব্যান্ডেল নলডাঙ্গার ছোটন মজুমদার। সাধারণকে মারধোর করা যাবে না, রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রীর করা নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে পুলিশের দাদাগিরি। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় নলডাঙ্গা নারায়ণপুর এলাকায়। অপরাধ সন্ধ্যায় দুধ কিনতে রাস্তায় বেরিয়েছিল ছোটন। নলডাঙ্গা খেলার মাঠের পাশেই তার বাড়ি। বাড়ি ঢোকার মুখে হটাত ব্যান্ডেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শের আলীর নেতৃত্ত্বে তিন মোটর সাইকেলে ছয় পুলিশ কর্মী সেখানে হাজির হয়। শয্যাশায়ী ছোটনের অভিযোগ, অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে করতে মোটর সাইকেল থেকে নামেন এস আই আলী। নেমেই তার উপর চড়াও হয়, লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করে। আঘাতে বাড়ির সামনেই রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে সে। হাতে থাকা দুধের প্যাকেট দেখিয়ে বার বার আলীকে বোঝানোর চেষ্ঠা করে সে, কোনও কথাই শোনে না আলী। আওয়াজ পেয়ে বাড়ির লোকজন বেরিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়না। মানুষের ভিড় জমে যায়। বেগতিক বুঝে ছোটনকে মোটর সাইকেলে বসিয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। ছোটন জানিয়েছে, সেখানেও তাকে ফেলে প্রচন্ড মারধোর করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা ফাঁড়িতে গিয়ে ছোটনের অপরাধ জানতে চায়। সাধারণের চাপে বাধ্য হয়ে রাতেই ছোটনকে ছেড়ে দেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, নলডাঙ্গা মোড়ে ফ্ল্যাটের নিচে আলীর স্নেহধন্য এক ব্যক্তির দোকান সারা দিনই খোলা থাকছে। দোকান থেকে দেদার চা বিক্রি চলছে। অথচ তা কিন্তু নজরে পড়ছে না আলী বাবুর। অথচ সংলগ্ন এলাকায় পাউরুটি বা ডিম সবজি ইত্যাদি বিক্রি করলেই দোষ। তুলে ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে চরম হেনস্থা করছে। সম্প্রতি নলডাঙ্গার একটি মুদিখানা দোকানদারকে তুলে ফাঁড়িতে নিয়ে গেছিল আলী। অনেক রাত পর্যন্ত সেখানে আটকে রেখে তার পর যা হয়, পুলিশ সেটাই করেছেন। শুধু নলডাঙ্গা নয় ব্যান্ডেলের সর্বত্রই এক কাজ করে চলেছেন। মানুষে অযথা তুলে নিয়ে গিয়ে হেনস্থা করা চলছে। লকডাউনের পর গোটা ব্যান্ডেলের চায়ের দোকান বন্ধ করেছিলেন আলী। কিন্তু তাঁর ফাঁড়ির পাশের চায়ের দোকান ছিল খোলা। পুলিশ কর্মী সিভিক ভলান্টিয়ার স্থানীয়দের ভিড় জমেছিল সেখানে, জমিয়ে আড্ডাও চলছিল। সম্প্রতি ছবি সহ সেই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বন্ধ হয় দোকান। সাধারণের অভিযোগ, সমস্যায় জেরবার মানুষ, দুবেলা খাবারের সংস্থান করাই দায় হয়ে উঠেছে। তার ওপর অসহ্য হয়ে উঠেছে পুলিশের অত্যাচার। অভিযোগ, লকডাউন কে কাজে লাগিয়ে রীতিমতো তোলাবাজির রাস্তায় নেমেছে ব্যান্ডেল ফাঁড়ি।Related Articles
সরকারের প্রস্তাবিত তাজপুরে সমুদ্রবন্দর নির্মাণে আগ্রহী দুই শিল্প সংস্থার সঙ্গে বৈঠক মুখ্যসচিবের।
কলকাতা, ১৭ ফেব্রুয়ারি:- তাজপুরে রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে আগ্রহী দেশের প্রথম সারির দুই শিল্প সংস্থা। বৃহস্পতিবার ওই দুই সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করেন মুখ্য সচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদী। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, তাজপুর বন্দর নির্মাণে আগ্রহী সংস্থার মধ্যে রয়েছে দেশে বেসরকারি বন্দর পরিচালনার ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য সংস্থা আদানি গোষ্ঠী। পাশাপাশি জিন্দাল গোষ্ঠীর […]
সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে আগুন।
হুগলি, ১১ নভেম্বর:- দাঁড়িয়ে থাকা ছোট ট্রাকে আগুন। দাউ দাউ করে জ্বলছে ট্রাক। সিঙ্গুর থানার বৈদ্যবাটি-তারকেশ্বর রোডে রতনপুর ব্রিজের উপর ঘটনা। ঘটনাস্থলে সিঙ্গুর থানার পুলিশ। হতাহতের কোনো খবর নেই। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ট্রাকটি রতনপুরের আলু ব্যাবসায়ী মনোজ মাইতির গাড়ি ছিল। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভায়। Post Views: 245
আরও পাঁচ লক্ষ ডোজ টিকা এল রাজ্যে।
কলকাতা , ২৩ এপ্রিল:- একদিকে রাজ্যে ক্রমবর্ধমান করোনার প্রকোপ অন্যদিকে অনিয়মিত সরবরাহ।এই দুই মিলিয়ে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হয়ে উঠেছে রাজ্যে। এমন অবস্থায় আশা জাগিয়ে রাজ্যে এসে পৌঁছল বেশ কয়েক লক্ষ ডোজ করোনা টিকা। এর ফলে রাজ্যে করোনা টিকার অভাব সাময়িক ভাবে মিটতে পারে বলে স্বাস্থ্য কর্তারা মনে করছেন। এদিন সন্ধ্যায় কোভিশিল্ড টিকার ৫ লক্ষ […]