এই মুহূর্তে জেলা

লক্ষ্মী-গনেশ নয় , বাংলা নববর্ষে চিকিৎসরাই হোক ভগবান , চায় মৃৎশিল্পীরাও।

তরুণ মুখোপাধ্যায়,৮ এপ্রিল:- পয়লা বৈশাখ আসতে আর হাতেগোনা কয়েকটা দিন বাকি। এই সময় প্রতিটি ব্যবসায়ী নতুন বছর শুরুর আগে হালখাতা উপলক্ষে  লক্ষ্মী ও  গণেশের পুজো করে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু এবছর করোনার ভয়াবহ প্রভাবে সারা বিশ্ব থমকে গেছে। মারণব্যাধি থেকে বাঁচতে শুরু হয়েছে লকডাউন। হুগলির মৃৎশিল্পর সঙ্গে যারা জড়িত তারাও মহা সংকটের মধ্যে পড়েছেন। হুগলির প্রখ্যাত মৃৎশিল্পী স্বপন পালের কথায়় প্রতিবছর এই সময় লক্ষ্মী গণেশের মূর্তির চাহিদা থাকে। কিন্তু এবছর এই ছোট ছোট ঠাকুর গুলো যারা করেন তাঁরা সাপ্লাই দিতে পারছেন না। কারন লকডাউনের ফলে সমস্ত কিছু বন্ধ। আর আমরা যারা বড় ঠাকুর করি তাঁরা ১০০-২০০ লক্ষ্মী-গণেশ বানাই। কিন্তু এবছর কোন খদ্দের নেই । এ পর্যন্ত মাত্র একটি ঠাকুর বিক্রি হয়েছে। কারণ যেখানে পুজো করবেন সেই দোকানই বন্ধ। এখন মানুষের প্রাণ বাঁচানোই বড় তাগিদ। সরকারের পক্ষ থেকে নানাবিধ চেষ্টা চলছে চিকিৎসকরা বারবার বলছেন এই মারণ ব্যাধি থেকে বাঁচতে আমাদের লকডাউনে যেতেই হবে। এই অবস্থায় কি করে পুজো হবে তা বোঝা যাচ্ছে না। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে ভগবানের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে ।কারণ সারাবিশ্বে মারণ রোগ ছেয়ে গেছে কোন প্রার্থনাই কাজে লাগছে না। এখন একমাত্র চিকিৎসকদের কথার উপর আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে। ওনারা এখন আমাদের কাছে ভগবান। এদিকে সাধারণ মানুষদের অধিকাংশের বক্তব্য যা মনে হচ্ছে এই লকডাউন এর মেয়াদ বাড়বে। আমাদের নিজেদের বাঁচার জন্য এটা আমাদের করতেই হবে। এরই মধ্যে একটা সুখবর ফুল ব্যবসায়ী এবং মিষ্টি ব্যবসায়ীদের খানিকটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। দেখা যাক নতুন বছরে হালখাতা কতটা করতে পারে ব্যবসায়ীরা।

There is no slider selected or the slider was deleted.

There is no slider selected or the slider was deleted.

There is no slider selected or the slider was deleted.