কোচবিহার,৮ এপ্রিল:- করোনা নিয়ে যখন বিশ্ব জুড়ে উদ্বেগ, তখনও ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে সক্রিয় পাচারকারীরা। মঙ্গলবার রাতে কোচবিহারের মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লকের বৈরাগীরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া চোঙারখাতা-খাগড়িবাড়ি এলাকায় ১১ গ্রাম আফিম সহ দুই যুবককে বিএসএফ গ্রেপ্তার করলে ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এতে মাথাভাঙার বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বিষয়টি প্রশ্ন তুলে বলেন, করোনা ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য দেশের ভিতরে লকআউট ঘোষণা করে মানুষকে গৃহবন্দী থাকতে বলা হয়েছে। অথচ সীমান্তে পাচারচক্র সক্রিয়। বাংলাদেশেও ওই ভাইরাস থাবা বসিয়েছে। যদি ওই পাচারকারীদের হাত ধরে ভাইরাস সীমান্ত পেরিয়ে গ্রাম গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসনের উচিত এখনই তৎপর হয়ে সীমান্তে আরও নজরদারি বাড়ানো। মাথাভাঙা থানার পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে সীমান্তে পাহারা দেওয়ার সময় দুই যুবক মারুতি ভ্যানে করে একটি ব্যাগের মধ্যে ১১ গ্রাম আফিম পাচার করার চেষ্টা করছিল। ওই সময় ১৪০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা ওই মারুতি ভ্যান আটক করে তল্লাশি চালালে তাঁদের কাছ থেকে ওই আফিম উদ্ধার করে। ওই দুই যুবকের নাম দীপঙ্কর বর্মন (২২) ও শ্রী রাম বর্মন (২১)। মাথাভাঙা ১ নং ব্লকের হাজরাহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের পাখিহাগা এলাকায় ওই দুই যুবকের বাড়ি। পরে বিএসএফ তাঁদের আটক করে মাথাভাঙা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এদিন তাঁদের বিরুদ্ধে নারকোটিক আইনে মামলা করে আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছে। তবে বিএসএফের স্থানীয় এক আধিকারিক জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের কারনে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর জন্যই এদিন ওই দুই যুবক আফিম পাচার করতে গিয়ে তাঁদের হাতে ধরা পড়েছে।