এই মুহূর্তে কলকাতা

করোনা মোকাবিলায় প্রশাসনিক দক্ষতার আবারো প্রমান দিলেন মমতাময়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

তরুণ মুখোপাধ্যায় ,২৩ মার্চ:-  করোনা মোকাবিলায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে প্রশাসনিক দক্ষতার শীর্ষে উঠে বিভিন্ন রকম ব্যবস্থা নিচ্ছেন তাতে তিনি  আরেকবার প্রমাণ হলো আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সত্যিই মমতাময়ী । করোনার মারণ ভ্রুকুটি যখন সারাবিশ্বে ত্রাসের সৃষ্টি করেছে তা থেকে বাদ যায়নি আমাদের দেশ ভারতবর্ষ। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কিছু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পশ্চিমবাংলার মানুষের জীবনের কথা ভেবে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শুরু থেকেই বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। দিনরাত এক করে প্রশাসনের সমস্ত স্তরের আধিকারিক এবং সাধারন মানুষকে নিয়ে কিভাবে করোনা মোকাবিলা করা যায় তার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২০০ কোটি টাকার একটি প্যাকেজের বন্দোবস্ত করেছেন। একদিকে যেমন প্রত্যেকটি মানুষকে যাতে এই মারণ রোগ থেকে রক্ষা করা যায় তার জন্য সমস্ত সরকারি হসপিটাল তো আছেই সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ কে সঙ্গে নিয়ে এই লড়াইয়ে নেমেছেন। প্রতিদিন মানুষের কাছে বার্তা দিয়েছেন যে যেভাবে হোক আমাদের এই মারণ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে ।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                       ইতিমধ্যে আমাদের রাজ্যকে লকডাউন ঘোষণা করে দিয়েছেন। মানুষের কাছে আবেদন রেখেছেন যে আপনারা কোনমতে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। একমাত্র এই রোগ প্রতিরোধেরপ্রতিষেধক হিসেবে লকডাউন ই হচ্ছে সবথেকে ভালো উপায।় কারণ এই রোগের বিস্তার সেটাকে যতক্ষণ না কেটে দেয়া হচ্ছে ততদিন কিন্তু এর সম্বন্ধে আমাদের ভয়ের একটা সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। ইতিমধ্য মুখ্যমন্ত্রীর সেই আহবানে সাড়া দিয়ে মানুষজন নিজেদের নিজেদের গৃহে কোয়ারান্টিনে রাখাল যে আবেদন মুখ্যমন্ত্রী করেছেন রাজ্যের মানুষ কার্যকর করতে শুরু করেছেন। গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের রাস্তাঘাট সমস্ত কিছু সুনসান। একান্ত প্রয়জন ছাড়া জনসাধারণ রাস্তায় বের হচ্ছেন না। প্রত্যেকটি অফিস , ক্লাব , শপিংমল , সিনেমাহল , থিয়েটার , কলকারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত আবেদন কাছে যেন ৩১ তারিখ পর্যন্ত সমস্ত কিছু বন্ধ রাখেন। একসঙ্গে মানুষের জমায়েত রোগ ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ সেটা যাতে বন্ধ হয় তার আবেদন তিনি করেছেন। তার সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেকটি সরকারি হসপিটালের আলাদা আলাদা আইসোলেশ ওয়ার্ডতিনি ইতিমধ্যে তৈরি করে দিয়েছেন। এবং নিউ টাউন এবং কলকাতা বেলেঘাটা আইডি তে করোনা রোগীদের সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করেছেন । এছাড়াও বেসরকারি হসপিটাল কর্তৃপক্ষ কেও অনুরোধ করেছেন এই রোগের চিকিৎসায় সুবন্দোবস্ত করতে হবে ও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এবং সর্বোপরি তিনি সমস্ত মানুষের কাছে আবেদন করছেন এই রোগ যাতে বিস্তার না হয় তার জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজেরাই নিজেদের রক্ষা করতে হবে ।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                           এবং এটাই হচ্ছে সবথেকে বড় উপায়। এবং সেই লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ কিন্তু অন্যান্য রাজ্যের থেকে অনেকটা এগিয়ে গেছে এবং এখানকার মানুষ রাজ্য সরকারের যে আবেদন তাতে যেমন সাড়া যেমন দিয়েছেন তার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের সুরক্ষার সুরক্ষিত রাখার বন্দোবস্ত করেছেন ।মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কারভাবে ঘোষণা করে দিয়েছেন। এই যে সময়টুকু বাড়িতে থাকতে হবে সেই সময় যাতে সাধারণ মানুষের কোনো রকম অসুবিধা সৃষ্টি না হয় তার জন্য তিনি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন খাদ্যশস্য ঔষুধপত্র , পেট্রোল,  ডিজেল এই জিনিস গুলো যাতে সাধারন মানুষ পেতে পারেন তার জন্য তিনি প্রশাসন কে কঠোর দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তার আবেদন বিপদ এলে বিপদকে মোকাবিলা করতে হবে । মাথা নোয়ানোর কোন জায়গা নেই যদি বুক চিতিয়ে কাঁধেকাঁধ মিলিয়ে আমরা সবাই লড়াই করি তাহলে তার স্থির বিশ্বাস  করোনা  থেকে নিশ্চয়ই একদিন মুক্তি পাবে আমাদের ভারতবর্ষ সঙ্গে আমাদের পশ্চিমবঙ্গও ।

There is no slider selected or the slider was deleted.

নতুন নতুন খবর পেতে “খবর সোজাসাপটা” পেজ টিকে লাইক করুন।