এই মুহূর্তে কলকাতা

পাঁচটা বাজতেই রাজভবনে ঘণ্টা, বাদ্যি বাজালেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। ধন্যবাদ জ্ঞাপন এ পিছিয়ে নেই হাওড়ার মানুষও।

 

প্রদীপ সাঁতরা , ২২ মার্চ:-  কাঁটায় কাঁটায় পাঁচটা বাজল, একসঙ্গে চারদিক থেকে বেজে উঠল নানা রকম শব্দ! কেউ ঘণ্টা, কেউ কাঁসর, কেউ বা সত্যিই থালা আর চামচের যুগলবন্দি! সেই সঙ্গে শাঁখের আওয়াজ, উলুধ্বনি! কেউ বা বাজালেন বাঁশিও! পাড়া থেকে পাড়া যেন সরগরম হয়ে উঠল অভিনন্দনের আওয়াজে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণে দেশবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, রবিবার যেন সকাল সাতটা থেকে রাত ন’টা কেউ বাড়ি থেকে না বেরোন নিজের ইচ্ছেয়। জনতা কার্ফু পালন করার কথা বলেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে আবেদন করেছিলেন, এই দিনই বিকেল পাঁচটায় জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িত যে সব স্বাস্থ্যকর্মী ও অন্যান্য কর্মীরা আছেন, তাঁদের অভিবাদন জানাতে যেন সকলে হাততালি দেন, কিছু বাজিয়ে শব্দ করেন।

There is no slider selected or the slider was deleted.

আবেদন রক্ষা করেছিল দেশবাসী। সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা ছিল কার্যত সুনসান। যানবাহন প্রায় চলেইনি। খুব বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেরোননি কেউ। তবে কাঁটায় কাঁটায় বিকেল পাঁচটা বাজতেই যে তাঁর কথা শুনে পাড়ায় পাড়ায় ঘণ্টাধ্বনি-শঙ্খধ্বনি শোনা যাবে, তা হয়তো অনেকেই আশা করেননি। দিনভর সোশ্যাল মিডিয়াতেও অবশ্য এ নিয়ে বহু পরিকল্পনা চোখে পড়েছে। কেউ জানিয়েছেন ঘণ্টা বাজাবেন, অন্যরাও যেন বাজান। কেউ জানিয়েছেন গান গাইবেন, তালি দেবেন। সবটা মিলে গেল পাঁচটা বাজতেই। জানলায়, ব্যালকনিতে, বারান্দায় বেরিয়ে এলেন মানুষ। যার যেমন ইচ্ছে, শব্দ করে অভিবাদন জানালেন জরুরি পরিষেবাদাতাদের। মিনিট কুড়ি পরে অবশ্য আবার সব শান্ত হয়ে যায়। কোনও কোনও জায়গায় উৎসাহ বেশি থাকায় কেউ কেউ বাজিও ফাটিয়েছেন বলে শোনা গেছে।

There is no slider selected or the slider was deleted.

জরুরি পরিষেবার কাজে যুক্তদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন হাওড়ার মানুষ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন জনতা। বিকেল ৫টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই পাড়ার প্রতিটি মোড়ে বাড়িতে দেখা গেল সেই ছবি। কেউ বাজাচ্ছেন কাঁসর ঘন্টা। কেউ বাজালেন থালা। কেউ হাততালি দিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন।আতসবাজিও পোড়ানো হল কোথাও কোথাও।

There is no slider selected or the slider was deleted.