হাওড়া,২৫ ফেব্রুয়ারি:- তৃণমূলের কথাতেই পুলিশ সাঁকরাইলে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনাকে পারিবারিক বিষয়ে খুন বলে চালাতে চাইছে, মঙ্গলবার দুপুরে হাওড়ায় এসে এই অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। আগামী ১ তারিখ কলকাতায় শহীদ মিনারে অমিত শাহের সভার আগে এদিন হাওড়ায় কর্মী কার্যকর্তাদের নিয়ে প্রস্তুতি মিটিং ডেকেছিল বিজেপি। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সায়ন্তন বসু সাঁকরাইলের খুন নিয়ে ওই মন্তব্য করেন। এদিন তিনি বলেন, “হাওড়ার সাঁকরাইলে একজন বিজেপি কার্যকর্তাকে খুন করা হয়েছে। ওনার বাড়ি আমরা যাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। এটা রোজ প্রমাণিত হচ্ছে। বিজেপি করার জন্য খুন হতে হচ্ছে। বিজেপি করলে মিথ্যা কেস দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি করলে আক্রান্ত হতে হচ্ছে। তৃণমূলের নেতারা বুক চিতিয়ে বিজেপির কর্মীদের মারছে আর প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
তৃণমূল কংগ্রেস তো আর এখন সাধারণ কর্মী বা কার্যকর্তারা করছে না, তৃণমূল কংগ্রেসের এখন দুটো পিলার। একটা পুলিশ আর একটা এলাকার দুষ্কৃতি। পুলিশ আর দুষ্কৃতি সরে গেলেই তৃণমূল দলটার আর কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। সাঁকরাইলের খুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে যা শুনেছি তাতে তৃণমূলের লোকেরাই জড়িত। বিজেপির ওই কর্মী সিএএ-র পক্ষে কারো বাড়িতে প্রচার করতে গিয়েছিল। তাকে হেনস্থা করা হয়েছে। এই রাজ্যে পুলিশের তদন্তে আমাদের কোনও ভরসা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন পুলিশ তাই করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি বলেন ওখানে বিজেপি যুক্ত তাহলে বিজেপির নাম দেবে। যদি বলেন সিপিএম যুক্ত তাহলে পুলিশ সিপিএমের নাম দেবে। ওনার যেরকম ইচ্ছা হবে সেরকম নাম দেবে। তৃণমূলের চাপেই পুলিশ সাঁকরাইলের ওই ঘটনাকে পারিবারিক বিষয়ে খুন বলে চাপাতে চাইছে।” এদিনের কর্মীসভা প্রসঙ্গে সায়ন্তন বসু বলেন, “আগামী ১ তারিখ কলকাতায় শহীদ মিনারের সভায় আসছেন অমিত শাহজি, নাড্ডাজি সহ অন্যান্যরা। তা নিয়ে আমরা আজ হাওড়ায় একটি প্রস্তুতি মিটিং করছি। হাওড়া থেকে বহু মানুষ সেই সভায় যাবেন।” ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সায়ন্তন বসু বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার তো জানিয়ে দিয়েছে ভারতের সম্মান খাটো করার জন্য ষড়যন্ত্র করে এটা করা হয়েছে। রাত ১০টায় ট্রাম্প চলে যাবেন। তারপরেই সরকার নিশ্চয়ই কোনও ব্যবস্থা নেবে এ ধরনের উপদ্রবকারীদের বিরুদ্ধে। তার অপেক্ষায় আমরা আছি।”






