হাওড়া,৩ ফেব্রুয়ারি:- তিনদিন নিখোঁজ থাকার পর স্কুল ছাত্রীর দেহ রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ল জনতা। ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে! পরে পরিকল্পনা করে রেললাইনের ধারে ফেলে দেওয়া হয়। এই অভিযোগে রণক্ষেত্র উলুবেড়িয়া। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত ছাত্রী ভূঁয়েরা বিএনএস হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করত। বাড়ি উলুবেড়িয়া মহকুমার রাজাপুর থানার তুলসীবেড়িয়া অঞ্চলের সুমদা ধাড়াপাড়া গ্রামে। সরস্বতী পুজো দেখতে বেরিয়ে আর খোঁজ মিলছিল না। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। উলুবেড়িয়া জিআরপি থেকে খবর পেয়ে মর্গে মেয়ের দেহ শনাক্ত করে পরিবারের সদস্যরা। ছাত্রীটির মৃত্যুর আগে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকতে পারে। এমনটি পুলিশের কাছে অভিযোগে জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই রণক্ষেত্রর আকার নেয় তুলসিবেড়িয়া এলাকা। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সরস্বতী পুজোর দিন থেকে মেয়ের কোন খোঁজ মিলছিল না। পরে ওর এক বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারা যায় একজন যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। তারসঙ্গে বাইকে ঘুরতে গেছে। কিন্তু রাতেও বাড়ি না ফেরায় পরের দিন ওই যুবকের নামে থানায় অভিযোগ জানানো হয়। রাজাপুর থানার পুলিশ অভিযুক্ত যুবক আমির আলিকে গ্রেফতার করেছে। ওর সঙ্গে সরস্বতী পুজোর দিন ঘুরতে গিয়েছিল। ওই নির্যাতন চালিয়ে খুন করেছে। ওর কঠিন সাজা দেওয়া হোক।
অভিযুক্ত আমিরকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। অভিযুক্তের কঠিন সাজা দেওয়ার দাবিতে এলাকায় পথ অবরোধ করা হয়। অবরোধ তুলবার নামে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়েছে ও বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি ইঞ্জিনভ্যানে। পুলিশের বিশাল বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ। নির্ভয়াকান্ডে দন্ডিতদের ফাঁসি নিয়ে যখন টালমাটাল পরিস্থিতি। সেই সময় উলুবেড়িয়ার ঘটনাটি মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। গ্রামীণ বিজেপির অভিযোগ, যেভাবে ছাত্রীটিকে নির্যাতন করে মারা হয়েছে তাতে করে পশ্চিমবঙ্গে মেয়েদের নিরাপত্তা তলানিতে এসে পৌঁছেছে। প্রতিবাদ জানালে ভুয়ো কেস দেওয়া হচ্ছে। অথচ আসামিদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে না প্রশাসন। এর বিরুদ্ধে পথে নেমে প্রতিবাদ জানানো হবে।