হাওড়া,১৮ ডিসেম্বর:– সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ( সিএএ ) এবং নাগরিক পঞ্জি ( এনআরসি ) প্রত্যাহারের দাবিতে এবার হাওড়ার রাজপথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোম ও মঙ্গলবার গত ২দিন কলকাতায় বিশাল মিছিলের পর বুধবার দুপুরে হাওড়া ময়দান থেকে কলকাতার ধর্মতলায় ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছেন তিনি। হাওড়াতেও এদিন মমতার মিছিলে ছিল জনজোয়ার। স্বতঃস্ফূর্ত গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এদিন মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মী সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ এই নয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি-র প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেন। এদিন দুপুরে মমতার নেতৃত্বে বিশাল মিছিল হাওড়া ময়দান ফ্লাইওভারের নিচে থেকে শুরু হয়। এরপর হাওড়া পুরসভা,
মহাত্মা গান্ধী রোড, জেলাশাসকের বাংলো সংলগ্ন ডি এম স্লোপ, ঋষি বঙ্কিম সেতু, ২৭এ পয়েন্ট, রবীন্দ্র সেতু, ব্রেবোর্ন রোড, টি বোর্ড, রবীন্দ্র সরণি, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট হয়ে মিছিল শেষ হবে ধর্মতলায় ডোরিনা ক্রসিংয়ে। হাওড়া থেকে এই মিছিলে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, অরূপ রায়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্মী রতন শুক্লা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ইন্দ্রনীল সেন ছাড়াও সাংসদ, বিধায়ক, পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর, জিলা পরিষদের সভাধিপতি সহ জেলার প্রথম সারির সব নেতৃবৃন্দ যোগ দেন। কোনওমতেই যে এখানে এনআরসি বা সিএবি চালু করা যাবে না এদিন তা ফের স্পষ্ট করে দেন মমতা। মিছিলের শুরুতে শপথ বাক্য পাঠ করান মমতা।দেশের একাধিক রাজ্য যখন জ্বলছে তখন ফের নানা মন্তব্য করছেন তিনি। দেশের মানুষের হিসাবে আমি আপনার কাছে জানতে চাই। কেন বলেছেন আধার কার্ড এর মধ্যে হবে না। তাহলে সব কিছুতে কেন আধার কার্ড ব্যবহার কেন করা হলো। কোন কার্ড কাজে আসবে না তাহলে কি শুধু বিজেপির মাদুলি কাজে আসবে। আমার কাছে তথ্য আসছে, সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে। এই রাজ্য পরিদর্শন করতে আসবে বলছে সেখানে বলা উচিত তারা এখানে পরিদর্শন করতে আসছে। তারা কেন দিল্লিতে পরিদর্শনে যাচ্ছে না। দলের নেতাদের ও নিজেদের সংযত রাখুন, অমিত শাহ কে বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগুন জ্বালানো সহজ, আগুন নেভানো কঠিন না। সরকার আসে আবার সরকার চলে যায়। কিন্তু অসাংবিধানিক আইন মেনে নেওয়া যায় না।








